BY- Aajtak Bangla
ডাক্তারদের হাতের লেখা বোঝা একটা ধাঁধা সমাধানের চেয়ে কম কিছু নয়। যদি পরিবারের কোনও সদস্য আপনাকে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেখতে বলেন, তাহলে মনে হয় যেন তারা কোনও গোপন মিশনের কোড লিখে রেখেছেন।
শুধুমাত্র ওষুধের দোকানদার বা অন্য কোনও ডাক্তারই এই লেখাটি বুঝতে পারেন। আপনাকে বলি যে এই অভিযোগ কেবল ভারতের ডাক্তারদের সম্পর্কে নয়, বরং সারা বিশ্বের ডাক্তারদের সম্পর্কে।
যদি আপনি ডাক্তারদের খারাপ হাতের লেখার কারণ জানতে চান, তাহলে আমরা এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি বলব।
কিছু ডাক্তারের দাবি, ডাক্তাররা ডাক্তার হওয়ার আগে খুব কঠোর পরিশ্রম করেন। তাঁদের কাজের সময় বড় বড় পরীক্ষা দিতে হয়। এই কারণে, তাঁরা সময় বাঁচানোর জন্য সর্বদা দ্রুত গতিতে লেখেন।
এই কারণেই অনেক ডাক্তারের হাতের লেখা এত খারাপ হয়ে যায় যে তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ে।
ডাক্তাররা প্রায়শই ব্যস্ত থাকেন। এছাড়াও, তাঁদের অল্প সময়ের মধ্যে অনেক রোগী দেখতে হয়। প্রতিটি রোগীর বিবরণ, লক্ষণ, সমাধান এবং ওষুধ লেখার সময় প্রতিটি শব্দ মনোযোগ সহকারে লেখার সময় থাকে না।
তাঁরা দ্রুত চিন্তা করেন এবং লেখেন, যার কারণে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়।
ডাক্তারি পড়ার সময় বা ডাক্তার হওয়ার পরে ডাক্তারদের প্রচুর পরিমাণে নোট, কেস হিস্ট্রি এবং প্রেসক্রিপশন লিখতে হয়। এত দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত লেখার ফলে হাতের পেশীতে ক্লান্তি আসে, যা হাতের লেখার উপর প্রভাব ফেলে।
শুধুমাত্র চিকিৎসা ক্ষেত্রের লোকেরাই এটি বুঝতে সক্ষম হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি পড়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ ছাড়া, প্রতিটি ব্যক্তির হাতের লেখা আলাদা। অনেক সময়, কিছু মানুষের স্বাভাবিক হাতের লেখা স্পষ্ট হয় না।