22 May, 2024
BY- Aajtak Bangla
একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা বিবাহের সময় সাতটি শপথ নেন। তারা একে অপরকে প্রতিটি সুখ-দুঃখে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে বাস্তব জীবনে, দুজন মানুষের পক্ষে একসঙ্গে থাকা এবং একে অপরকে বোঝা এত সহজ নয়। আপনার অনেক ছোট-বড় বিষয় আপনার সঙ্গীর মনে বিরক্তি তৈরি করে এবং সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
চাণক্য নীতির মতে, মহিলারা বিশেষত কথোপকথনের সময় এমন কথা বলে যা তাদের সম্পর্কের ফাটল সৃষ্টি করে।
সম্পর্ককে মজবুত করতে এবং যেকোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে স্ত্রীদের উচিত স্বামীর সামনে কিছু কথা না বলা।
স্বামীর সঙ্গে কথা বলার সময় স্ত্রীদের কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত, কারণ বিয়েকে বলা হয় অটুট সম্পর্ক, কিন্তু কিছু ছোটখাটো কারণে এই সম্পর্ক চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়।
চাণক্য নীতি অনুসারে, বিবাহের পরে, মহিলাদের তাদের স্বামী বা শ্বশুর-শাশুড়ির সামনে তাদের বাপের বাড়ির প্রশংসা করা উচিত নয় এবং তাদের শাশুড়ি, শ্বশুর, ভগ্নিপতি বা ভাই-এর সম্পর্কে খারাপ কথা বলা উচিত নয়।
চাণক্য নীতি অনুসারে, স্বামী এবং স্ত্রীর একে অপরের প্রতি মিথ্যা বলা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে অকারণে সন্দেহ বাড়বে, যা সম্পর্ককে তিক্ত করে তুলবে।
বিবাহিত জীবনে রাগ শব্দটি ভুলে যাওয়া উচিত, কারণ রাগের সময় লোকেরা একে অপরকে এমন কথা বলে যাতে পরে তারা অনুতপ্ত হয়।
ইগোর কারণে স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে অবমূল্যায়ন করে এবং এটাই সম্পর্ক শেষ হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্বামী-স্ত্রীর উচিত সবসময় অহংকার দূরে রাখা এবং ভুল করলে দেরি না করে একে অপরকে ক্ষমা করা।
স্বামী-স্ত্রীকে অযথা অর্থ ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় খরচ বা বদ অভ্যাসের কারণে টাকা জলের মতো নষ্ট করা উচিত নয়। এতে করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
চাণক্য নীতি বলেছেন যে স্বামী এবং স্ত্রীর উচিত তাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলি নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা। তাদের ব্যক্তিগত বিষয় অন্য কারো সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। কেউ যদি দাম্পত্য জীবনে সুখ চায়, তবে তার মনের কথা অন্য কাউকে বলা উচিত নয়, সে যতই কাছের মানুষ হোক না কেন।