BY- Aajtak Bangla
11 December, 2023
এক মহিলা অন্তঃসত্ত্বা। তার প্রসববেদনা শুরু হয়েছে। এমন সময়ে মাথায় পিস্তল ধরে আছেন রণবীর কাপুর। তিনি ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার ‘হিরো’!
স্ত্রীর গলা চেপে ধরে, অকারণ নির্মম ও নৃশংসভাবে মানুষকে হত্যা করে—এই হলো হিরোর চরিত্র বিজয়! সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত রাগী, ইচ্ছেমতো যৌনাচারে লিপ্ত, বিধ্বংসী, নারীবিদ্বেষী একটা চরিত্র।
নারীবিদ্বেষকে দেখানো হচ্ছে ‘আলফা মেল’ চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হিসেবে। ২০২৩ সালে দাঁড়িয়ে এমন চরিত্রকে ‘পৌরুষের অধিকারী’ হিসেবে দেখানো হচ্ছে, যার মধ্যে মানবিকতাবোধ এবং স্বাভাবিক মানুষের যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, সেসবের ছিটেফোঁটাও নেই।
দুর্বল স্টোরিটেলিং ঢাকা হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত সহিংসতা, বিরক্তিকর আর প্রাপ্তবয়স্ক সব দৃশ্য দিয়ে।
একজন নারীর আদর্শ জীবনসঙ্গী তিনিই, যিনি তাঁর সেরা বন্ধু, গল্প করার মানুষ, আবেগীয় নির্ভরতার পরম জায়গা, যিনি আপনাকে প্রতিনিয়ত আপনার ‘সেরা ভার্সন’ হয়ে উঠতে অনুপ্রাণিত করেন, যিনি ক্ষমা করতে জানেন, দুঃসময়টা যাঁর কাঁধে ভর করে সহজে পার করে ফেলা যায়।
কিন্তু সুস্থ–স্বাভাবিক সম্পর্কের জন্য রণবীর কাপুরের ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় দেখানো পুরুষেরা ‘বিগ নো’, ‘রেড ফ্ল্যাগ’।
ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, ‘আপনি যদি ভাবেন যে দুনিয়ায় আপনার স্বামীই সবচেয়ে খারাপ, তাহলে “অ্যানিমেল” দেখুন। ভালো লাগবে। মনে মনে শান্তি পাবেন।’
সিনেমায় নারী চরিত্রগুলোকে অতিথি চরিত্র বললেও ভুল হবে না। পুরুষময় একটা চলচ্চিত্র, যেখানে কোনো পুরুষই আবার ‘স্বাভাবিক’ নয়।
এখন আলোচনার বিষয় হলো, রণবীর ‘অ্যানিমেল’ সিনেমায় যে ধরনের পুরুষের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, সে ধরনের পুরুষকে কি কোনো নারীর ভালোবাসা উচিত?