1 April, 2025

BY- Aajtak Bangla

v

বাংলাদেশি মৌলবাদীদের রাগ, গীতায় 'ভারত'-এর আসল অর্থ কী?

বাংলাদেশে এবার গীতার একটি শ্লোক নিয়ে বিতর্ক। হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়াচ্ছে মৌলবাদিরা।  

সদ্য বাংলাদেশের ছাত্ররা একটি নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছে। সেই দলের সূচনার সময় কোরানের সঙ্গে গীতাপাঠও হয়।  

সেই গীতাপাঠে উদ্ধৃত করা হয় গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের শ্লোক। 

এই শ্লোকটি হল-যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত। অভ্যুত্থানম অধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্। পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।

এই শ্লোকের 'ভারত' শব্দ নিয়েই আপত্তি মৌলবাদিদের। 'ভারত' বলতে ইন্ডিয়ার গুণগান গাওয়া হয়েছে বলে দাবি।

গীতায় 'ভারত' বলতে কী দেশকে বুঝিয়েছেন কৃষ্ণ? জবাব দিলেন পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী।

নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী জানান,'রাজা ভরতের বংশধর অর্জুন। তাঁকেই ভারত বলে সম্বোধন করেছেন শ্রী কৃষ্ণ'।

ঐতিহাসিকদের দাবি, ভারত বলে তখন আলাদা দেশই ছিল না। এই ভূখণ্ড আর্যাবর্ত নামেই খ্যাত ছিল। 

গীতার এই শ্লোকের বাংলা তর্জমা হল, হে অর্জুন যখনই ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মের অভ্যুত্থান ঘটে, আমি অবতীর্ণ হই।

অর্থাৎ হিন্দুদের আরাধ্য বিষ্ণু নানা রূপে অধর্মের নাশে ধরাতলে আসবেন। বাঁচাবেন সৎ ও শুভবুদ্ধির মানুষদের।