5 January 2024
BY- Aajtak Bangla
বেশিরভাগ মানুষই শীতে গরম জলে স্নান করেন। তবে যারা ঠান্ডা জলে স্নান করচে অভ্যস্ত তারা কিন্তু এ সময় অজান্তেই বিপদে পড়তে পারেন।
কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ায় যদি আপনি বরফ শীতল জলে স্নান করেন সেক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমনটিই জানাচ্ছে বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণা। আর এ কারণেই শীতে বাথরুমে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা বেশি ঘটে।
চিকিৎসকদের মতে, ঘরে ও বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য হৃদযন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
ঠান্ডায় রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয় ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ কারণে অতিরিক্ত ঠান্ডা কিংবা গরম জলে স্নান করলে শরীরে শক লাগে। শীতে স্নানের জন্য আদর্শ উপায় হলো বেশি ঠান্ডা আবার গরম নয় এমন জলে স্নান করা।
অত্যধিক ঠান্ডা আবহাওয়ায় গায়ে জল ঢালতেই শরীরে একটি ঝাঁকুনি অনুভুত হয়, একই সঙ্গে শরীরের সব লোম দাঁড়িয়ে যায় (গুজবাম্প হয়)। ঠিক ওই মুহূর্তে শরীর রক্ত সঞ্চালনকে ওভারড্রাইভে পাঠায়।
হৃদযন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে রক্ষা করতে দ্রুত রক্ত পাম্প করতে শুরু করে ও ত্বককে সংকুচিত করে। এ কারণে কাঁপুনির সৃষ্টি হয় শরীরে। যা হার্টের উপর আরও চাপ দেয়।
যদিও ফিটনেসবিদরা শরীরের বিপাক বাড়াতে ঠান্ডা ঝরনা ব্যবহারের উপকারিতা ও বিভিন্ন যুক্তি ব্যবহার করেছেন। তাদের মতে, ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরের উচ্চতর প্রতিক্রিয়া বিপাকের হারকে বাড়িয়ে তোলে, শক্তি ব্যয় করে ওঅতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়ায়।
কিছু গবেষক এও দাবি করেছেন যে, বরফ মেশানো জলে স্নান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে ও অসুস্থতার বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধী করে তুলতে পারে।
নেদারল্যান্ডে একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নানের কারণে প্রায় ২৯ শতাংশ মানুষের অসুস্থতার ঝুঁকি কমেছে। যদিও ঠান্ডা জলে স্নানের অনেক উপকারিতা আছে, তবে শরীর বুঝে তবেই তা অনুসরণ করতে হবে।
যারা শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান শুধু তারাই এ ধরনের অভ্যাস অনুসরণ করতে পারেন। তবে আপনি যদি ফিট না হন ও হার্টের অসুখে ভোগেন তাহলে ঠান্ডা জলে স্নান এড়িয়ে যান।
বেশি ঠান্ডাও না আবার গরমও নয় এমন জলে স্নান করুন, প্রথমে হাত-পা ভেজান তারপর একে একে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জল ঢালুন ও এভাবে স্নান সম্পন্ন করুন। তবে হঠাৎ করে কখনো শরীরে জল ঢালবেন না, এতে শরীরের ভেতরে শকের সৃষ্টি হতে পারে।