02 Marchr, 2024
BY- Aajtak Bangla
মানুষ হোক বা অন্য কোনও জীব, প্রত্যেক জীবেরই গড় বয়স আছে। কিন্তু আধুনিক সময়ে, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার যেভাবে পরিবর্তন হয়, মানুষ তাদের গড় বয়স পর্যন্ত বাঁচতে পারছে না।
এর জন্য অনেক কারণ দায়ী। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, বসে থাকা জীবনযাপন, মানসিক চাপের মতো বিষয়গুলো এর জন্য প্রধানত দায়ী।
উদ্বেগের বিষয় হল মানুষ অল্প বয়সেই বুড়ো দেখাতে শুরু করে। বিজ্ঞানের মতে, অল্প বয়সে বৃদ্ধ হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। এই ৮টি উপায়ে বয়সের প্রভাব কমানো যায়।
যে ব্যক্তি ভাল ঘুমোয় বা বিশ্রাম নেয়, তার জৈবিক বয়স তার প্রকৃত বয়সের তুলনায় ধীর হয়ে যায়।
ধূমপানের কারণে বয়স কমে যায়। অতএব, যে ব্যক্তি ধূমপান করেন না তিনি অবশ্যই তাঁর বয়সের প্রভাব কমাতে পারেন।
যে ব্যক্তি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন, অর্থাৎ সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ব্যায়াম করেন, বয়সের প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাক-সবজি, তাজা ফল, গোটা শস্য সবচেয়ে উপকারী। এর পাশাপাশি, ফাস্ট ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্যাকেটজাত খাবারের মতো অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলাও জরুরি।
আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার যৌবন ধরে রাখতে চান, তাহলে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করুন।
যদি আপনার রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে তবে বয়সের প্রভাব আপনার উপর খুব কম দেখা যাবে। আপনার দ্রুত বয়স হবে না। রক্তে শর্করা বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং নিয়মিত ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চ কোলেস্টেরল জীবনের জন্য একটি বড় ঝুঁকি। আপনি যদি স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ না করেন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করেন তবে অবশ্যই কোলেস্টেরল বাড়বে। তাই কোনও অবস্থাতেই কোলেস্টেরল বাড়তে দেবেন না।
উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক রোগ বলা হয়। আজকাল বেশিরভাগ মানুষের রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি পরিস্থিতিতে রক্তচাপ বজায় রাখুন। নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।