BY- Aajtak Bangla
22 SEPTEMBER, 2023
বৃহস্পতিবার সন্ধের সময় পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে এই রাজ্যে ৪০ টন ইলিশ ঢুকেছে। ফলে খুসির হাওয়া এপার বাংলার ক্রেতা-বিক্রেতা থেকে ভোজনরসিকরা।
বাংলাদেশি ইলিশ চলে আসায় বাংলার বাজারে ইলিশের জোগান যেমন বেড়েছে, বেড়েছে ধোঁয়াশাও! কারণ, বম্বে ইলিশ (গুজরাত থেকে আমদানি হওয়া মাছ) আর বাংলাদেশি ইলিশ প্রায় একই রকম দেখতে।
সামান্য কিছু ফারাক যে একেবারে নেই, তা-ও নয়। তবে সে ফারাক সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা না থাকলেই ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই।
আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এক মাছ বিক্রেতা বাবু সরকার জানান, এই দুই ইলিশের চেহারায় ফারাক এতই সুক্ষ্ম আর সামান্য যে তা চিনতে সমস্যা হতে পারে খুচরো মাছ বিক্রেতাদেরও।
হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার বলেন, বাংলাদেশি ইলিশ এ রাজ্যের বাজারে পৌঁছেছে, তার সঙ্গে গুজরাত থেকে আমদানি করা ‘বম্বে ইলিশ’-এর চেহারার তফাত করা মুশকিল।
বাংলাদেশ থেকে যে ইলিশ এসেছে, সেটা মেঘনা-পদ্মার নয়, চট্টগ্রামের মাছ। আর এই মাছের চেহারার সঙ্গে বম্বে ইলিশের ফারাক প্রায় নেই বললেই চলে।
আদিত মজুমদার জানান, তবে খুব খুঁটিয়ে দেখলে এই দুই জায়গার মাছের আঁশের গড়ন আর রঙের তফাতটা চোখে পড়বে।
বাংলাদেশের ইলিশের আঁশ ছোট, আর বম্বে-গুজরাতের ইলিশের আঁশের সাইজ একটু বড়। বাংলাদেশ-চট্টগ্রামের ইলিশ একটু বেশি চকচকে আর লালচে।
বাকি দিশি ইলিশের (ডায়মন্ডহারবার আর বম্বে-গুজরাতের ইলিশের) আঁশ একটু কালচে, সামান্য ছোট-ঘন। ছবিতে দেখানো ফরাকটা মাথায় রেখে কিনলেই ঘরে তুলতে পারবেন খাঁটি বাংলাদেশি ইলিশ।