BY- Aajtak Bangla
18 October, 2024
প্রতিটি রাজ্যের একটি করে রাজ্যপ্রাণী রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেরও রাজ্য প্রাণী রয়েছে। সেটা কি জানেন?
মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরনের স্তন্যপায়ী মাংসাশী বন্যপ্রাণী হল বাঘরোল ।
এটি মেছোবাঘ বা মেছো বিড়াল নামেও পরিচিত। বৈজ্ঞানিক নাম Prionailurus viverrinus।
এরা চেহারায় সাধারন বিড়ালের প্রায় দ্বিগুন হয়, ছাই রঙের খরখরে লোমশ শরীর। মাথা থেকে কাঁধের দিকে লম্বা টানা ডোরা, শরীরের পাশের দিকটায় আবার ছোপ ছোপ।
ডোরা আছে মুখে, পেটের দিকটা সাদাটে। সাধারনত নিশাচর এবং জলাশয়ের কাছাকাছি অঞ্চলে বসবাসকারী।
এই প্রাণীটিকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার 'রাজ্য প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এবং বাংলাদেশে এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত।
বাঘরোল সাধারণত নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া এবং জলাভূমিতে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে।
এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকার জন্য চিতাবাঘ বলেও ভুল করে অনেকে। পুরুষ বাঘরোল গড়ে ১৬-২২ বর্গকিমি এবং স্ত্রী বাঘরোল গড়ে ৪-৬ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে ঘোরাঘুরি করে।
এদের প্রজননকাল জানুয়ারি থেকে এপ্রিল। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। তবে সাম্প্রতিক গবেষণাতে দেখা গেছে, এরা মেঠো ইঁদুরও শিকার করে।
বিগত কয়েক দশকে বাঘরোলের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। বাঘরোলের আবাসস্থল জলাভূমিগুলো দিন দিন সংকুচিত ও হ্রাস পাওয়াই এর মূল কারণ।
তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে বাঘরোলকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে। ২০১৬ সালে আইইউসিএন বাঘরোলকে সংকটাপন্ন প্রজাতির তকমা দেয়।