07 Oct, 2024
BY- Aajtak Bangla
কিন্তু কেন বিবাহে ছেলেদের এবং মেয়েদের বয়সের পার্থক্য রয়েছে? এই প্রশ্ন কখনও নাড়া দেয়নি আপনাাকে?
এরপর ছেলেদের বিবাহের বয়স ২১ বছর এবং মেয়েদের বিবাহের বয়স ১৮ বছর করা হয়। কিন্তু এই বয়সের আগে বিয়ে করা চলতেই থাকে।
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর ছেলে এবং মেয়ের বিবাহের বয়সে পার্থক্য রাখার বিষয়টি স্থান পায়। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের বয়স বেশি হওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়।
শিশু বিবাহ প্রতিরোধ আইন, পারসি, হিন্দু, মুসলিম সব বিবাহ আইনেই বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছেলেদের জন্য ২১ বছর এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছর করা হয়েছে।
তবে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য নিয়ে আইনগতভাবে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ দম্পতি সবক্ষেত্রেই সমান।
কিছু মানুষের মধ্যে এই মানসিকতা তৈরি হলেও, বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই তা এখনও তৈরি হয়নি। বিবাহের বয়সের পার্থক্য হলো বৈষম্য।
বিবাহের বয়স নির্ধারণে ধর্ম যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনি ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের বয়স কম হওয়া উচিত, এর পিছনেও কিছু কারণ রয়েছে।
নিজের থেকে বয়সে বড় মেয়েকে বিয়ে করলে, স্ত্রী হয়তো স্বামীর কথা শুনতে চাইবেন না। তাই হয়তো এমন নিয়ম।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যতই সমতা নিয়ে কথা বলুক না কেন, মেয়েদের সমতার প্রশ্ন উঠলেই তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়। নিজেদের থেকে বয়সে ছোট মেয়েদের বিয়ে করতে চান পুরুষরা।
কারণ তাহলে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এ কারণেই সম্ভবত ছেলেদের তুলনায় তাদের বিবাহের বয়স কম রাখা হয়।