27 June, 2023
বাংলায় বর্ষা এসে গিয়েছে। আর এই বর্ষায় বাঙালির পাতে ইলিশ থাকলে তো কথাই নেই! ভাতের পাতে মাছ, তা-ও আবার ইলিশ— এক কথায় ‘সোনায় সোহাগা’!
তাই গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা পড়তেই ভোজনরসিক বাঙালির মন এখন ইলিশ চাইছে। এই মরসুমের ইলিশ পাতে তুলতে এখনও বেশ সময় অপেক্ষা করতে হবে ভোজনরসিকদের।
তবে এখন বাজারে হিমঘরের মাছ দিয়ে সাধ পূরণ করা যেতেই পারে। স্বাদে কিছুটা আপোশ করতে পারলে সাধ পূরণে কোনও বাধা নেই। জামাইষষ্ঠীর পর ইিমঘরের ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে।
এখন ৭৫০-৯০০ টাকাতেও ৫৫০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ঘরে তোলা যাচ্ছে। বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারের এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, ইলিশের দাম আপাতত মোটামুটি নাগালের মধ্যেই রয়েছে।
কসবা আর বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারে এখন ৪৫০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশও রয়েছে যেগুলি ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ, ৪০০ টাকার মধ্যেই একটা গোটা ইলিশ নেওয়া যায়।
কসবা আর বালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন বাজারে ৫৫০-৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মোটামুটি ৭৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এই দুই বাজারে এই ওজনের মাছের বিক্রিই সবচেয়ে বেশি।
লেকমার্কেট আর গড়িয়াহাটের মাছের বাজারে ৭৫০-৯০০ গ্রামের ইলিশ বিকোচ্ছে মোটামুটি ১২০০ টাকা কিলো দরে।
লেকমার্কেট-গড়িয়াহাটের বাজারে দেড় থেকে দুই কিলো ওজনের ইলিশও রয়েছে কিছু মাছ ব্যবসায়ীর কাছে। সেগুলির দাম ২,৫০০-২,৬০০ টাকা কিলো।
এক কেজির চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশের দাম ১,৬০০-২,০০০ টাকা কেজি। হাওড়া, শিয়ালদহ, বালিগঞ্জ, কসবা, পাতিপুকুরের পাইকারি বাজারে ইলিশের দর মোটামুটি একই রকম।