BY- Aajtak Bangla
13 SEPTEMBER, 2023
সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত ডগ ইউনিট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে সব সময় বড় অবদান রেখেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে চলা এনকাউন্টারে জঙ্গিদের ধাওয়া করতে গিয়ে গুলিতে শহিদ হয়েছে সেনার কুকুর কেন্ট।
বাস্তবে সেনার কুকুরদের গতি ছাড়াও অনেক গুণের কারণে তারা সেনাবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রশিক্ষিত এই কুকুরদের সেনাবাহিনীতে বিশেষ পদও দেওয়া হয়।
সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা কুকুরদের শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং চটপটে হওয়া উচিত। বুদ্ধিমান, অনুগত এবং ক্ষিপ্র কুকুররাই জায়গা পায় সেনাবাহিনীর ডগ ইউনিটে।
সাধারণত, সেনাবাহিনীর ডগ ইউনিটে Labrador, Belgian Malinois এবং German Shepherd প্রজাতির কুকুর বেছে নেওয়া হয়। এরা যেমন বুদ্ধিমান, তেমনি কম সময়ে অনেক বেশি শেখে।
নিয়োগের পর তাদের দীর্ঘ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময় যে কোনও বিশেষ অপারেশনের জন্য তাদের নিয়োগ করা হোক না কেন, কুকুরগুলিকে সব রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
যদি কোনও কুকুরকে বোম্ব স্কোয়াডে নিয়োগ করা হয়, তবে কীভাবে, কোন ধরনের গন্ধ পেয়ে দূর থেকে বিস্ফোরক শনাক্ত করতে হয় তা শেখানো হয়।
ন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার ফর ডগস (NTCD) এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করে। বিস্ফোরক শনাক্ত করার পাশাপাশি অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনার কাজও শেখানো হয় কুকুরদের।
এই কুকুরদের কণ্ঠস্বরের পরিবর্তে চোখের ইশারা দিয়ে বুঝতে এবং কাজ করতে শেখানো হয়। এরা এতটাই প্রশিক্ষিত হয় যে, বিপদের সময় এদের আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
বর্তমানে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রায় ১০০০টি সেনা কুকুর রয়েছে। তাদের প্রায় সকলেই বিভিন্ন কাজের জন্য প্রশিক্ষিত তবে সকলেরই অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে দক্ষতা রয়েছে।
এই কুকুরদের বীরত্বের জন্য রিমাউন্ট ভেটেরিনারি কর্পস (RVC) শৌর্য চক্র এবং অন্যান্য অনেক সম্মানে সম্মানিত করা হয়। পুরস্কার বিজয়ী কুকুরদের প্রতি মাসে ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা পায়।
সাধারণত ৮ থেকে ১০ বছরের কাজের পর সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষিত ডগ ইউনিটের কুকুরদের অবসর দেওয়া হয়। অবসর গ্রহণের পরে এই কুকুরদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।