সোনার ঝাড়ু দিয়ে সাফ করা হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রার পথ

19 June, 2023

প্রতি বছর আষাঢ় মাসে, বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার পুরী জগন্নাথ মন্দির থেকে ভগবান জগন্নাথের রথযাত্রা হয়। এ বছর রথযাত্রা হবে ২০ জুন আগামিকাল।

পৌরানিক কাহিনি অনুযায়ী এটা বিশ্বাস করা হয় যে, সুভদ্রা তার দাদা জগন্নাথের কাছে দ্বারকা নগরী দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বোনের ইচ্ছাপূরণে জগন্নাথ সুভদ্রাকে সঙ্গে নিয়ে রথে করে ঘুরেছিলেন।

মনে করা হয়, সেই ঘটনাকে স্মরণ করেই এই রথযাত্রা শুরু হয়েছিল। এই যাত্রায় জগন্নাথের রথের পাশাপাশি তাঁর বোন সুভদ্রা এবং বড় ভাই বলরামের রথও রথযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।

গুন্ডিচায় জগন্নাথ, বলভদ্র আর সুভদ্রা তার মাসির বাড়িতেও যান। বিশ্বাস করা হয়, সেই থেকেই এই রথযাত্রার প্রথা শুরু হয়।

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকেই জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রার রথ তৈরির কাজ শুরু করা হয়। যখন তিনটি রথ সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যায়, তখন এগুলিকে যথাযথ ভাবে পুজো করা হয়।

যে পথে এই রথগুলি যাবে, সেগুলিও সোনার ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। যাত্রার সময় সামনের দিকে বলরামের রথ, মাঝখানে সুভদ্রার এবং একেবারে শেষে থাকে জগন্নাথের রথ।

বলরামের রথ 'তালধ্বজ' নামে পরিচিত এবং এটির রং লাল ও সবুজ হয়। সুভদ্রার রথের নাম 'পদ্মরথ', এই রথের রং কালো বা নীলের সঙ্গে লাল। ভগবান জগন্নাথের রথের নাম গরুধ্বজ। তাঁর রথের রং লাল ও হলুদ বা সোনালি।

প্রতি বছর এই রথগুলি তৈরির সময় তিনটির উচ্চতা প্রথা মেনে অপরিবর্তিত রাখা হয়। তিনটি রথের মধ্যে ভগবান জগন্নাথের রথের উচ্চতা ৪৫.৬ ফুট, বলরামের রথের উচ্চচা ৪৫ ফুট এবং সুভদ্রার রথ ৪৪.৬ ফুট উঁচু।

এই রথগুলি সব সময় নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। কারণ, নীম কাঠ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই রথগুলিতে কোনও পেরেক বা কাঁটার ব্যবহার করা হয় না। এমনকি এই রথগুলিতে কোনও ধাতু ব্যবহার করা হয় না।