15 JULY , 2024
BY- Aajtak Bangla
শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে প্রায় সিংহভাগ হিন্দু বাঙালি বাড়িতে উপোস করার চল রয়েছে।
ধর্ম আচরণের অঙ্গ হিসাবে উপবাস করার প্রথা সব ধর্মের সঙ্গেই জুড়ে আছে। মুসলিমরাও রোজার মাসে সারাদিন উপোস থাকেন।
তবে উপোস করলে কিন্তু শরীরের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হয় নইলে শরীর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নানা রোগ বাসা বাঁধতে পারে।
উপোস করলেও চেষ্টা করুন একেবারে নির্জলা উপোস না করার। উপোসের সময় বিভিন্ন রকম ফল খাওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া খাবারের তালিকায় নারকেল, কাজু বাদাম, আমন্ড, খেজুর, আখরোটও রাখতে পারেন। দই খেতে পারেন। সাবুমাখাও খেতে পারেন।
উপোসের দিনগুলিতে সুস্থ থাকতে বার বার জল খেতে হবে। জল খেলে পেট ভর্তিও থাকবে আর খিদেও কম পাবে।
ডিহাইড্রেশন হলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে, কাজ করতে ভাল লাগে না। জলের পাশাপাশি দুধ, ঘোল খাওয়া যেতেই পারে। ডাবের জল কিংবা আখের রসও দারুণ উপকারী।
উপোসের সময় খালি পেটে থাকার কারণে অনেকের মনেই মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হয়। এতে রক্তের শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে।
উপোসের সময় মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে খেজুর দিয়ে তৈরি মাখনার পায়েস, ফলের রায়তা, কলার স্মুদি খেতে পারেন।
ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন।
উপোস করলে পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয় সে দিকে নজর রাখুন। আগের রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোন। ঘুম সম্পূর্ণ হলে খিদে কম পাবে, শরীরও চাঙ্গা থাকবে।