2 April, 2024
BY- Aajtak Bangla
v
মার্কিন মুলুকে প্রায়শই টর্নেডোর কথা শোনা যায়। তবে এবার সেই টর্নেডোয় বাংলায়।
আচমকা ঝড়-তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত তছনছ হয়ে যায়।
বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, ক্ষতি হয়েছে চাষের জমিতেও। প্রাণ হারিয়েছেন এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫ জনের।
রবিবার রাতেই জলপাইগুড়িতে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। নিহত ও আহতদের পরিবারকে সাহায্যে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার হঠাৎ উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বাতাসের কারণে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, এটি কোনও কালবৈশাখীর মতন স্বাভাবিক ঝড় নয়, এটি 'মিনি টর্নেডো'। এই বিষয়ে সিকিমের আবহাওয়া দফতরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, 'বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি, সমস্ত দিক খতিয়ে জানলে তবে বোঝা যাবে এটি কী ধরনের ঝড়।'
কোনও পূর্বাভাস ছাড়াই এইরকম ভয়ংকর ঝড় কেন? বিভিন্ন আবহাওয়াবিদরা বিভিন্ন ব্যাখা দিচ্ছেন। আগে থেকে টর্নেডোর সম্ভাবনা বলা কার্যত অসম্ভব।
আবহাওয়াবিদদের দাবি, একটি নির্দিষ্ট আবহাওয়া পরিস্থিতিতে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। ঘূর্ণায়মান বজ্রঝড় দিয়ে এই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। এরপর তা পরিণত হয় প্রবল বাতাস ও শিলাবৃষ্টিতে।
এই ঝড়ের সময় বাতাস মাটির কাছাকাছি ঘুরতে থাকে। মাত্র কয়েক মিনিটে বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়খাড় করে দিতে পারে এই ঝড়।