30 Sep 2024
BY- Aajtak Bangla
স্বাদ,রঙ,আকার,মিষ্টতা এমনকি আচরণেও নাকি আলাদা বাংলা আর ওড়িশার রসগোল্লা। এমনটাই জানাচ্ছেন রসগোল্লা তথা মিষ্টি প্রেমিকরা।
কিন্তু আম বাঙালির কাছে অতি পরিচিত রসগোল্লার সঙ্গে ওড়িশার রসগোল্লার কি পার্থক্য? জেনে নিন।
মিষ্টি এক, দাবি দুই রাজ্যের। বাঙালির দিপুদা-র মধ্যমনি পড়শি রাজ্যের পুরী। বাঙালির অন্যতম প্রিয় জায়গা। পুরী গেলে জগন্নাথ দেবের দর্শন আর খাজা মাস্ট।
দুই রাজ্যের রাজনৈতিক সীমানাও মিলেমিশে এক। রসগোল্লার অধিকার নিয়ে লড়াইয়ে দুই রাজ্যের এই আপাত সখ্য হঠাৎ-ই ব্যাকসিটে।
অনেকে দাবি করেন যে পর্তুগিজরা ভারতে এলে তারা ছানা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে এবং এভাবেই পশ্চিমবঙ্গে প্রথমবারের মতো রসগোল্লা তৈরি করা হয়েছিল।
যেখানে গবেষণায় বলা হয়েছে যে, ১৮ শতকে ওড়িশা থেকে আসা রাঁধুনিরা বেশিরভাগ বাঙালি পরিবারে কাজ করত। তাই এটা সম্ভব যে তারা এই মিষ্টি তৈরি করেছিলেন।
ওড়িশায় এটি বিশ্বাস করা হয় যে রসগোল্লা ১১ শতকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং এই মিষ্টির গল্পটি দেবী লক্ষ্মীকে তুষ্ট করার সঙ্গে সম্পর্কিত। যাকে আজ ওড়িশায় পহলা রসগোল্লা বলা হয়।
ওড়িশার রসগোল্লার টেক্সচার লাল রঙের এবং এগুলি খুব নরম এবং রসালো। এগুলিকে চিবানোর দরকার নেই এবং এগুলি মুখে ভরলেই মিলিয়ে যায়।
অন্যদিকে, বাঙালি রসগোল্লা আকারে গোলাকার এবং দুধ সাদা। আর এগুলো মূলত স্পঞ্জি, যেগুলো চিবিয়ে খেতে হয়।