10 JUNE 2025
BY- Aajtak Bangla
পরিবার চাইছে ২৫-এর গণ্ডি টপকালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসুক মেয়ে। বন্ধুরা বলছে, প্রাণ ভরে বাঁচো, তারপর বিয়ে নিয়ে ভাব।
বিয়েবাড়িতে আত্মীয়স্বজনের মুখে 'এই তোরটা কবে খাব?' শুনতে শুনতে জেরবার হয়ে যাচ্ছেন
এত দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। গীতাতেই আছে যাবতীয় ধন্দ থেকে মুক্তির উপায়।
কথায় বলে, জন্ম-মৃত্যু- বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। তাই বিয়ে কোন বয়সে করবেন কিংবা আদৌ করবেন কি-না, এ নিয়ে দোলাচলে থাকলে গীতার শরণাপন্ন হন।
গীতায় অবশ্য প্রথমেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, বয়সের উপর নির্ভর করে কখনওই জীবনের এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার যুক্তি নেই।
২০ বছরে সাতপাকে বাঁধা পড়লে সুখী হবেন আর ৩০-এ হবেন না, হলফ করে কেউ তা বলতে পারে না।
শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে প্রশ্ন করেননি যে, তাঁর যুদ্ধর জন্য সঠিক বয়স হয়েছে কি হয়নি। বরং জানতে চেয়েছিলেন, ধর্মের লড়াইয়ে তিনি প্রস্তুত কি না।
গীতা নিজেকে প্রশ্ন করতে শেখায়, সমাজের চাপে নয়, মন থেকে কারও সঙ্গে কমিটমেন্টে যেতে তৈরি? প্রশ্নগুলোর উত্তর ইতিবাচক হলে বয়স কোনও ফ্যাক্টরই নয়।
গীতা প্রশ্ন করে, জীবনে পূর্ণতা পেতে আপনার কি কোনও সঙ্গী দরকার? উত্তর ইতিবাচক হলে আর দেরি কীসের, বসে পড়ুন বিয়ের পিঁড়িতে।