BY- Aajtak Bangla
07 AUGUST, 2023
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘প্রিভেন্টিং সুইসাইড: অ্যা সোর্স ফর মিডিয়া প্রফেশনালস ২০১৭’ সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করেন।
প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আরও একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, গত ৪৫-৫০ বছরে আত্মহত্যার ঘটনা ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অবসাদ, হতাশা, আত্মবিশ্বাসের অভাব বা হেনস্থার শিকার হয়ে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।
জাপানের অওকিগাহারা জঙ্গলে এসে কেন প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১০০ জন মানুষ আত্মহত্যা করেন, তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না সেখানকার প্রশাসনিক কর্তা থেকে মনোবিজ্ঞানীরা!
আত্মহত্যা না করার নানা পরামর্শ, সতর্কবার্তায় একাধিক সাইন বোর্ড রয়েছে এই জঙ্গলের আনাচে কানাচে। তবুও অওকিগাহারা জঙ্গলে এসে মানুষের আত্মহত্যা রোখা যাচ্ছে না।
একাধিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, আত্মহত্যার সংখ্যার নিরিখে অওকিগাহারা জঙ্গল বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আত্মহত্যায় প্রথম আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন ব্রিজ।
এই অওকিগাহারা জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পড়লে মোবাইল ফোন, জিপিএস প্রায় অকেজো হয়ে পড়ে, ঠিক মতো কাজ করে না কম্পাসও।
তাই দিক ভুল করে বা কোনও ভাবে এই জঙ্গলের ভিতরে ঢুকে পথ হারিয়ে গেলে সাহায্যের জন্য ফোন করে কাউকে ডাকাও এখানে প্রায় অসম্ভব!
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অওকিগাহারা জঙ্গলের মাটি চৌম্বকীয় আয়রনে সমৃদ্ধ, যা মোবাইল ফোনের পরিষেবা, জিপিএস সিস্টেম এবং এমনকি কম্পাসগুলিকে অকেজো করে দিতে পারে।
অনেকের বিশ্বাস, অওকিগাহারা জঙ্গলে মৃত ব্যক্তিদের আত্মা ঘুরে বেড়ায়। কোনও জীবিত ব্যক্তি এখানে এলে তাঁকেও নানা ভাবে প্রভাবিত করে এই আত্মারা।
শোনা যায়, ১৯৬০ সালে সেইকো মাতসুমোতো নামের এক জাপানি লেখকের দুটি উপন্যাস প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয় মানুষের মধ্যে এখানে এসে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যায়।
সেইকো মাতসুমোতোর ১৯৬০ সালের উপন্যাস ‘টাওয়ার অফ ওয়েভস’ আর ওয়াতারু সুরুমির ১৯৯৩ সালের বিতর্কিত বই ‘দ্য কমপ্লিট ম্যানুয়াল অফ সুইসাইড’ পড়ার পর এই জঙ্গলে মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায়।
১৯৮৮ সাল থেকে গড়ে প্রতি বছর ১০০ জন অওকিগাহারা জঙ্গলে এসে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন এই জঙ্গলে পাওয়া মৃতদেহের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে।