BY- Aajtak Bangla
14 JULY, 2023
মানুষের মতোই পাখিদের মধ্যেও ‘ডিভোর্স’ হয়। তাদের মধ্যেও মানুষের দাম্পত্যের মতো সম্পর্ক তৈরি হয় এবং ওই সম্পর্ক বিশেষ কিছু কারণে ভেঙেও যায়। এর বেশ কিছু অদ্ভুত কারণও রয়েছে।
পাখিরা তাদের সঙ্গীর সঙ্গ নানা কারণে ত্যাগ করে চলে যায় যাকে 'বিচ্ছেদ' হিসাবেও দেখা যেতে পারে। এই আচরণ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের মধ্যেই লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।
পাখিরা প্রধানত তাদের একগামী সামাজিক সঙ্গম পদ্ধতির জন্য পরিচিত, যেখানে তাদের সাধারণত অন্তত একটি প্রজনন মরমের জন্য একক সঙ্গম-সঙ্গী থাকে।
বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন যে, তবে মানুষের মতোই নানা কারণে পাখিরা তাদের সঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করে অন্য সঙ্গী বেছে নিচ্ছে।
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, পাখিদের মধ্যে 'বিবাহবিচ্ছেদ'-এর পিছনের কারণগুলি মানুষের মধ্যেও দেখা যায়। যেমন, যৌনতা বা সঙ্গম নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং পার্শ্ববর্তী পরিবেশ থেকে চাপ ইত্যাদি।
সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য রয়্যাল সোসাইটি নামের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে পাখিদের নিয়ে এই বিশেষ গবেষণার রিপোর্ট।
গবেষণায়, চিন এবং জার্মানির বিজ্ঞানীরা পাখিদের মধ্যে এই বিচ্ছেদের হারকে প্রভাবিত করে এমন কারণগুলিকে সনাক্ত করতে ২৩২টি পাখির প্রজাতিকে নিয়ে অসংখ্য পরীক্ষা করেছেন।
পাখিদের বিচ্ছেদের হার, উভয় লিঙ্গের সঙ্গমে অসঙ্গতি, বহুবার সঙ্গী বদলের প্রবণতা, দূর-দূরান্তে স্থানান্তর এবং প্রাপ্তবয়স্ক পাখির মৃত্যু সহ বিভিন্ন কারণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছে।
গবেষকরা দেখেছেন যে, পুরুষ পাখিরা যৌনতায় বা সঙ্গমের ক্ষেত্রে বহুগামী, কিন্তু মাদি বা মেয়ে পাখিরা এরকম একেবারেই নয়।
গবেষকদের বিশ্বাস, পাখিদের বিচ্ছেদের হারের সঙ্গে এর একটি ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে। তবে গবেষকরা এটাও দেখেছেন যে, মাইগ্রেশনের দূরত্ব পাখির বিচ্ছেদের হারকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।
এই গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যগুলি যে ইঙ্গিত পাওয়া যায় তা হল, উচ্চ বিচ্ছেদের হারের পাশাপাশি পাখির প্রজাতিগুলি একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রজনন সম্পর্কের যথেষ্ট প্রমাণও স্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে।