BY- Aajtak Bangla
8 Augut 2024
রাস্তায়, গলিতে জ্বলছে চিতা। একের পর এক দেহ আসছে। দাউদাউ করে চিতা জ্বলছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
মৃতের আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, তাঁরা দেহ নিয়ে আসার পরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন শেষকৃত্যের জন্য।
কেন এই পরিস্থিতি? আসলে বারাণসীতে ৮৪টি গঙ্গার ঘাটে ডুবে গিয়েছে। ব্যাপক বৃষ্টির জেরে গঙ্গার জল বিপদসীমা পার করে বইছে।
যার জেরে, শ্মশানঘাটগুলিও ডুবে গিয়েছে। ফলে মৃতদেহগুলির চিতা জ্বলছে বারাণসীর রাস্তা ও গলিগুলিতে।
অবস্থা এতটাই খারাপ যে, গঙ্গার নৌকা পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শ্মশানের একমাত্র ভরসা হল মণিকর্ণিকা ঘাটে নির্মিত উঁচু ভারা, কাশীর দ্বিতীয় শ্মশান হরিশচন্দ্র ঘাটের রাস্তায় শ্মশান শুরু হয়েছে।
এ কারণে শুধু শবযাত্রাই নয়, মৃতদেহ দাহ করা ডোম সম্প্রদায়ের লোকজনকেও চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বন্যার জলে ঘাটে শ্মশানের জায়গা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় মণিকর্ণিকা ঘাটে আগতদের প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মৃতদেহের শেষকৃত্য করতে আসা ওপি সিং বলছেন, শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে তাকে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল এবং এখন আরও আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লাগবে।