BY- Aajtak Bangla
20th March, 2024
এলভিস যাদব সাপের বিষ মামলার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যুব সমাজের মধ্যে মাদক হিসেবে সাপের বিষের নেশার ঘটনা ঘটছে।
বিষধর সাপ মানেই তো মৃত্যুর সমন। বিষধর সাপের কামড়ে বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন গ্রামে প্রতি বছর বহু মানুষের মৃত্যু হয়। তাহলে সাপের বিষ কীভাবে নেশা হতে পারে?
কয়েকটি স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, সাপের বিষের নেশা কিন্তু মদের মতো নয়। সাপের বিষ সরাসরি শরীরের স্নায়ুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
সাপের বিষে থাকে নিউরোটক্সিন। রক্তে প্রবেশ করার পরে ৭ দিন পর্যন্ত নেশার ঘোর থেকে যায়।
সাপের বিষের নেশায় কী হয়? সাপের বিষের নেশা যে করে, সে প্রথমে একটি কেমিক্যাল ইঞ্জেকশন নেয়। তারপর বিষধর সাপকে নিজের জিভে ছোবল মারায়।
তারপরেই শরীর এলিয়ে যায়। খানিক্ষণের জন্য প্যারালাইসিস করে দেয় শরীর। ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় সব কিছু। তারপর ৭ দিন এনার্জি থাকে তুঙ্গে। এতটাই এনার্জি যে এক মুহূর্তের জন্যও ঘুম পায় না।
২০১৪ সালে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এর রিসার্চে বলা হয়, ভারতে কোবরা, গ্রিন স্নেক ও কালাচ সাপের বিষ নেশার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়।
২০২১ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি-র স্টাডি বলছে, সাপের বিষ ৬০ শতাংশ শুষ্ক হয়।
রক্তে মেশার পরে তা সেরোটনিন, ব্রেডিকাইনিনের মতো কেমিক্যাল ছাড়তে শুরু করে।
মস্তিষ্কে হঠাত্ আরাম দেয়। মনে হয় যেন, অপার শান্তি। ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রচণ্ড শক্তিশালী অনুভব করতে শুরু করে।
আসলে ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বলতার দিকেই নিয়ে যায় এই বিষ। একটা সময় গোটা শরীর প্যারালাইজড করে দেয়। মৃত্যু হয় না।
সাপের বিষয় খুব দামী। সাধারণত একগ্রাম সাপের বিষের দাম হয় সাড়ে ৪০০ থেকে ৭০০ মার্কিন ডলার।