17 September, 2023
BY- Aajtak Bangla
গুজরাটের এক রেলস্টেশনে চায়ের দোকানে বাবাকে সাহায্য করতেন নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে ভারত তথা বিশ্ব রাজনীতিতে তাঁর এই উত্থান কোনও রূপকথাকেও হার মানাবে।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৫০ সালে গুজরাটের মেহসানা জেলায় এক সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম। চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয় ছিলেন। বাবা দামোদরদাসের একটি ছোট চায়ের দোকান ছিল।
স্কুলে অল্প বয়স থেকেই ভাষণ, বক্তৃতার দুর্দান্ত ক্ষমতা ছিল তাঁর। তবে কিছুটা যেন আপনভোলাও ছিলেন। মাঝে মাঝেই কয়েক মাসের জন্য বাড়ি থেকে বেপাত্তা হয়ে যেতেন। প্রকৃতির মাঝে, পাহাড়ে ঘুরে বেড়াতেন।
১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএস-এ যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরপর দিল্লিতে আরএসএস দফতরে যান। সেখানে অফিস পরিষ্কার করা, সিনিয়র সহকর্মীদের জন্য চা তৈরির পাশাপাশি প্রাতঃরাশ এবং সন্ধ্যার জলখাবার তৈরি, চিঠিপত্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতেন।
যখন ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, তখন তিনি গুজরাটে ফিরে আসেন। লুকিয়ে ছিলেন। তবে তার মধ্যেই রাজনৈতিক লেখালিখি চালিয়ে যান।
এর মাঝেও কিন্তু পড়াশোনা ছাড়েননি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন। তারপর M.A. করতে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।
দুর্দান্ত বক্তৃতার ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক দুরদর্শিতার জন্য RSS ও BJP নেতাদের নজর কাড়েন। ১৯৮৭-৮৮ সালে, তাঁকে বিজেপির গুজরাট ইউনিটে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়।
ধীরে ধীরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটে বিজেপির সর্বেসর্বা হয়ে ওঠেন। ১৯৯০ সালে যখন লালকৃষ্ণ আদবানী সোমনাথ থেকে অযোধ্যায় রথযাত্রা করেছিলেন, তখনও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
২০০২ সালে মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি দারুণ জয়লাভ করে। আর তারপর থেকে কখনও পিছনে ফিরে তাকাননি।
গুজরাট দাঙ্গার সময়ে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিন্তু একইসঙ্গে তাঁকে নতুন গুজরাটের উন্নয়নের সারথি বলা হয়। তাঁর নেতৃত্বে গুজরাটের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ায়।
২০১৪ সালের ২৬ মে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।