BY- Aajtak Bangla
18 OCTOBER, 2023
কানাডার লোভা স্কটিয়ায় আটলান্টিক সমুদ্রের তীরে রয়েছে ওক দ্বীপ। মনে করা হয়, এই দ্বীপের ১৪০ একর অরণ্যভূমিতেই লুকিয়ে রয়েছে গুপ্তধন। অষ্টাদশ শতকে নাকি সে সব লুকোনো হয়েছিল।
শোনা যায়, ওক দ্বীপ সংলগ্ন সাগর তখন জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। সপ্তদশ শতকে বণিকদের কাছে ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন ক্যাপ্টেন কিড নামের এক জলদস্যু।
শোনা যায়, কিড নাকি একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজ লুট করে অঢেল সম্পত্তির অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সম্পত্তিই তিনি মৃত্যুর আগে লুকিয়ে রেখেছিলেন এই ওক দ্বীপে।
মনে করা হয়, কিডের ধনসম্পত্তির মূল্য ছিল প্রায় ২০ লক্ষ পাউন্ড। ভারতীয় মুদ্রায় যা এখন ২০ কোটি টাকারও বেশি। সেই সম্পদের খোঁজেই বার বার এই দ্বীপে অভিযান চালিয়েছেন মানুষ।
শতাধিক বছর আগে এই জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে ৯০ ফুট গভীরে একটি পাথরখণ্ড মিলেছিল। সেই পাথরখণ্ডে খোদাই করা ছিল অদ্ভুত এক লিপি।
বিজ্ঞানীরা সেই লিপির পাঠোদ্ধার করে দেখেন, তাতে লেখা, ১০ ফুট নীচে ২০ লক্ষ সোনার কয়েন পুঁতে রাখা হয়েছে। এর পর ক্রমেই ওক দ্বীপ নিয়ে একের পর এক অদ্ভুত, ভয়ঙ্কর গল্প ছড়াতে থাকে।
১৭৬২ থেকে ১৭৬৫ সালের মধ্যে প্রথম বার এই ওক দ্বীপের সমীক্ষা করা হয়। ১৭৭৬ সালে এই দ্বীপের মানচিত্র তৈরি করেন ব্রিটিশ কার্টোগ্রাফার জেএফডব্লিউ ডেস বারেস।
১৭৯৫ সালে নৌকা চালিয়ে এই দ্বীপে এসে পৌঁছেছিলেন ড্যানিয়েল ম্যাকগিনিস এবং তাঁর দুই বন্ধু। দ্বীপে ঘুরতে ঘুরতে অদ্ভুত এক জায়গার সন্ধান পান তাঁরা।
এর পর দুশো বছর ধরে ওক দ্বীপে গুপ্তধনের সন্ধান চলে। সময় যত এগোতে থাকে, ততই আরও উন্নততর প্রক্রিয়ায় চলে খননকার্য। গুপ্তধনের অনুসন্ধান আজও থামেনি।