BY- Aajtak Bangla
21 AUGUST, 2023
১৯১২ সালে হীমশৈলের সঙ্গে ধাক্কায় ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম ও বিলাশবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক (RMS Titanic)।
তারপর থেকে দীর্ঘ ১১১ বছর ধরে অতলান্তিক মহাসাগরের পৃষ্ঠ থেকে সাড়ে ১২ হাজার ফুট (৩৮০০ মিটার) গভীরে পড়ে রয়েছে এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ।
বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ সাবমেরিনে চড়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখতে অতলান্তিক মহাসাগরে ডুব দেন অসংখ্য পর্যটক।
তবে আর ৭ বছরের মধ্যে হয়তো টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষও সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে! কারণ, অতলান্তিক মহাসাগরের গভীরে বসবাসকারী এক ‘রাক্ষুসে’ ব্যাকটেরিয়া খেয়ে ফেলছে এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ।
যে গতিতে এই ব্যাকটেরিয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ গ্রাস করছে, তাতে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা ২০৩০ সালের মধ্যেই সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হতে পারে এর ধ্বংসাবশেষ!
২০১০ সালে এই ব্যাকটেরিয়ার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। টাইটানিকের মরচে পড়া লোহাই এই ব্যাকটেরিয়ার প্রধান খাদ্য।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষে মরচে পড়া লোহা খেয়েই বেঁচে থাকে এই ব্যাকটেরিয়া। তাই এই ব্যাকটেরিয়ার নামও দেওয়া হয়েছে টাইটানিকের নামেই ‘হ্যালোমোনাস টাইটানিকা’।
যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ অতলান্তিক মহাসাগরের পৃষ্ঠ থেকে ১২৫০০ ফুট গভীরে যেখানে পড়ে রয়েছে, সেখানে জলের লবণাক্ততা ৩.৫ শতাংশ। এর অর্থ হল, এখানে ব্যাকটেরিয়ার টিকে থাকা সহজ।
তাই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছিলেন যে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ শেষ পর্যন্ত মহাসাগরের গভীরে অদৃশ্য হয়ে যাবে। কিন্তু তা যে এত তাড়াতাড়ি হবে, তা একেবারেই ভাবেননি বিজ্ঞানীরা।