03 JULY, 2023

BY- Aajtak Bangla

ব্ল্যাক মাম্বা নয়, এই প্রাণীর বিষে একসঙ্গে মরবে ২০ জন

পৃথিবীতে অনেক ধরনের প্রাণী দেখা যায়। পৃথিবীর সব প্রাণীরই নিজস্ব একটা বিশেষত্ব আছে। এই প্রতিবেদনে আলোচিত প্রাণীগুলির প্রচণ্ড ঘাতক বিষই এদের বিশেষত্ব।

শুধু শঙ্কচূড় বা ব্ল্যাক মাম্বা নয়, আজ এমন কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বিজ্ঞানীরা যেগুলিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী বলে মনে করেন।

বেশিরভাগ মানুষ কিং কোবরা বা শঙ্কচূড় সাপকে সবচেয়ে বিষাক্ত বলে মনে করেন। কিন্তু একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণীগুলির মধ্যে একটি হল জিওগ্রাফি কোন।

এটি একটি শামুক। একটি বড় কাঁকড়া বিছে তার শিকারকে হত্যা করার জন্য যে পরিমাণ বিষ প্রয়োগ করে, এই শামুক তার চেয়ে ১০ গুণ বিষ প্রয়োগ করে শিকারকে হত্যা করে।

এটি এতটাই বিষাক্ত যে নিমিষেই কোনও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারে। যদিও এই শামুকের বিষে এখনও পর্যন্ত কোনও মানুষের মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

ফানেল-ওয়েব স্পাইডার খুবই বিষাক্ত। মূলত এটি অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া যায়। বলা হয়, এই মাকড়সার বিষ সায়ানাইডের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর এবং এটি কাউকে কামড়ালে অল্প সময়ের মধ্যে মারা যেতে পারে।

গভীর সমুদ্রে পাওয়া জেলিফিশের একটি প্রজাতির নাম বক্স জেলিফিশ। এটি পৃথিবীর অন্যতম বিষাক্ত প্রাণী। যদি এর বিষ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, তবে সেই ব্যক্তির বেঁচে থাকা কঠিন।

নীল অক্টোপাস এক কামড়ে যত বিষ, তা একসঙ্গে ২০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করতে পারে। এই প্রজাতির অক্টোপাস প্রধানত ভারত মহাসাগর ও অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে পাওয়া যায়।

বিছেকে সাধারণত খুব বেশি বিষাক্ত বলে মনে করা হয় না। তবে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে পাওয়া লাল বিছে যদি কাউকে কামড়ায় এবং সময়মতো চিকিৎসা না করা হয় তবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার মৃত্যু হবে।