BY- Aajtak Bangla

অ্যানাবেল নয়, এটাই বিশ্বের ‘সবচেয়ে ভয়ঙ্কর’ পুতুল!

02 JANUARY, 2024

রবার্ট একটি পুতুল, রয়েছে ফ্লরিডার ফোর্ট ইস্ট মার্টেলো মিউজিয়ামে। ১৯৯৪ সাল থেকে এই মিউজিয়ামে রয়েছে সে। তার আগে ফ্লরিডার কি ওয়েস্ট শহরের ওটো পরিবারে ছিল পুতুল রবার্ট।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে এই পুতুল। কাঠের চেয়ারের উপর পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকা ছোট্ট (ছেলে) পুতুল রবার্ট। তবে রবার্টের চোখমুখে উদাসীনতার ছাপ।

নাবিকের পোশাক পরা রবার্টের মাথায় টুপি, হাতে একটি ছোট্ট কুকুর। কিন্তু এই ছোট পুতুলটিকে ভীষণ ভয় পাচ্ছেন অনেকে। সবাই তাকে ‘সরি’ বলছে। কেন? অনেকেরই বিশ্বাস, রবার্ট আসলে একটি ‘ভূতুড়ে পুতুল’!

পুতুল রবার্টের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১১৯ বছরের ইতিহাস। কি ওয়েস্টের এক নামী চিত্রশিল্পী, লেখক ছিলেন রবার্ট ইউজিন ওটো। তাঁকে ছোটবেলায় তাঁর দাদু জার্মানি থেকে একটি পুতুল এনে দেন।

ধীরে ধীরে পুতুলের নামও রবার্ট ওটোর নামেই রবার্ট হয়ে যায়। শোনা যায়, ওই পুতুলের সঙ্গে সে নিয়মিত কথাও বলতেন রবার্ট ইউজিন ওটো। এই ছবিটি শিল্পী ইউজিন ওটোর।

এই ছবিটি শিল্পী ইউজিন ওটোর ছোটবেলার। শোনা যায়, ছোটবেলা থেকেই রবার্ট ইউজিন ওটো নিজের যাবতীয় অন্যায় কাজের দায় চাপিয়ে দিতেন এই পুতুলের উপর।

অনেকে বলেন, ওটোর বাড়ির জানলার উপরে বসিয়ে রাখা পুতুলটি মাঝে মধ্যেই নাকি সে সেখান থেকে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যেত। এই পুতুলকে নিয়ে আরও অনেক ভৌতিক জনশ্রুতির কারণে অনেকেই ভয়ে এই বাড়ি এড়িয়ে চলতেন।

১৯৭৪ সালে চিত্রশিল্পী, লেখক ওটোর মৃত্যুর পর তাঁদের বাড়ি বিক্রি হয়ে যায়। তবে ওই পুতুলটি থেকে যায় ওই বাড়িতেই। অনেকে নাকি ওই বাড়ির ছাদে হাঁটাচলা শব্দ শুনতে পেতেন।

কেউ কেউ আবার ওই বাড়ির ছাদ থেকে অট্টহাসির শব্দও শুনেছেন বলে দাবি করেছেন। বাড়ির মালিকানা বদলে গেলেও ওই বাড়িতে নাকি ‘রাজত্ব’ করত ওই ‘ভূতুড়ে পুতুল’ রবার্ট!