BY- Aajtak Bangla

মারাত্মক বিষ! দিঘায় ইয়েলো বেলিড স্নেক চিনবেন কীভাবে?

22 AUGUST, 2023

বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের সাগরপাড়ের পর্যটনকেন্দ্র হল দিঘা। সপ্তাহান্তে বাঙালির প্রিয় এই ছুটির গন্তব্যে এখন পায়ে পায়ে আতঙ্ক! কারণ, এখানেই দেখা মিলেছে ভয়ঙ্কর বিষধর এক সামুদ্রিক সাপের।

আতঙ্কের কারণ যে সামুদ্রিক সাপ তার নাম ইয়েলো বেলিড সি স্নেক। সম্প্রতি যেটিকে দিঘার সমুদ্র সৈকতে দেখতে পান বাঁকুড়া থেকে এখানে আসা এক পর্যটক।

এই সাপের ঠিকুজি জানার পরই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দিঘায় আসা অনেক পর্যটকদের মনে। দিঘার সমুদ্র সৈকতে মাঝে মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই বিষধর সাপ, যার ‘এক ছোবলেই ছবি’ বা মৃত্যু প্রায় অনিবার্য!

ইয়েলো বেলিড সি স্নেক লম্বায় আড়াই থেকে তিন ফুট। সাপের পেটের নীচটা হলুদ রঙের। ইয়েলো বেলিড সি স্নেকের আসল বৈশিষ্ট‌ তার লেজে।

এই বিষধর সামুদ্রিক সাপের লেজের অংশটি নৌকোর দাঁড়ের মতো চ্যা প্টা আর মুখটা অনেকটা হাঁসের ঠোঁটের মতো দেখতে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইয়েলো বেলিড সি স্নেকের বিষ মায়োটক্সিক।

এই সাপ যাকে কামড়াবে তার পেশীগুলি দ্রুত অকেজো আর অসাড় হতে শুরু করে। তার পর হার্ট-ফুসফুসে সমস্যা বাড়তে থাকে।

ইয়েলো বেলিড সি স্নেকের কামড়ে প্রথমে বিকল হবে কিডনি, তারপর ফুসফুস শেষে হৃদযন্ত্র। এই সাপ কামড়ালে মূত্রের রং কফির মতো কালচে লাল হয়ে যায়।

সর্প বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সামুদ্রিক সাপের কামড়ে মৃত্যুর তেমন কোনও নজির নেই বলেই এই সাপের বিষ থেকে বাঁচতে কোনও অ্যান্টি ভেনাম তৈরি করা হয়নি।

এমনিতে ১০০ মিনিটের মধ্যে ১০০ মিলিলিটার বা ১০ ভায়াল এভিএস (অ্যান্টিভেনম সিরাম) দিতে পারলে রোগী সাধারণত বেঁচে যায়। কিন্তু ইয়েলো বেলিডের ক্ষেত্রে তো এভিএস কাজই করে না।