scorecardresearch
 

New Airport In North Bengal: উত্তরবঙ্গে আরও একটি বিমানবন্দর করতে চায় AAI, জমি চাইল রাজ্যের কাছে

রাজ্য়ে নতুন বিমানবন্দর করতে চায় এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। উত্তরবঙ্গের হাসিমারাতে এই নতুন বিমানবন্দর করতে চায় AAI। জমি চেয়ে চিঠি দিল রাজ্যের কাছে।

Advertisement
হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি-ফাইল ছবি হাসিমারা বায়ুসেনা ঘাঁটি-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • উত্তরবঙ্গে আরও একটি বিমানবন্দর করতে চায় AAI
  • হাসিমারায় বায়ুসেনাঘাঁটিতে হবে বিমানবন্দর
  • জমি চাইল রাজ্যের কাছে

হাসিমারায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর পেতে চলেছে উত্তরবঙ্গ। হাসিমারার বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিকে কেন্দ্র করেই এই বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। ওই জমি পাওয়া গেলেই পরিকাঠামো গড়ার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা।

অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রীর জমি চেয়ে চিঠি

বৃহস্পতিবারই অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জন বারলাকে চিঠিও পাঠিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে হাসিমারাতে বিমানঘাঁটি গড়ে তোলার জন্য জমিও চাওয়া হয়েছে। তবে যতদিন বিমান ওঠানামার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা না হচ্ছে ততদিন যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামার জন্য হাসিমারার সামরিক বিমানঘাঁটি ব্যবহার করার একটা পরিকল্পনা রয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রকের।

হাসিমারা বিমানঘাঁটিটি বায়ুসেনার অধীন

হাসিমারা বিমানঘাঁটিটি ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যবহার করে। এখানকার রানওয়ে লম্বায় ২৭৪০ মিটার দীর্ঘ আর চওড়ায় ৪৫ মিটার। এ ধরণের পরিকাঠামো কোড-সি এয়ারক্রাফটের জন্য যথাযথ। এই পরিকাঠামোর আরও উন্নয়নের জন্য এয়ারপোর্ট অথরিটি ওফ ইন্ডিয়া রাজ্য সরকারের কাছে জমি চেয়েছে ৩৭.৭৪ একর।

ইতিমধ্য়েই পরিকাঠামো রয়েছে হাসিমারায়

ওই চিঠিতে মন্ত্রী জানান, হাসিমারা বিমানঘাঁটিতে এমনিতেই কোড-সি টাইপের এয়ারক্রাফট ওঠা নামা করার সুবিধা রয়েছে। এর কাছাকাছি সড়কপথে ৫৭ কিলোমিটার দূরে কোচবিহার, ১৩৭ কিলোমিটার দূরে বাগডোগরা এবং ১১৭ কিলোমিটার দূরে রূপসী বিমানবন্দরের অবস্থান। এর মধ্যে হাসিমারা থেকে যাত্রীবাহী বিমান ওঠানামা করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সুবিধাই হবে।

এয়ারপোর্ট অথারিটি অফ ইন্ডিয়া যে রাজ্যসরকারের কাছে হাসিমারায় পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরের পরিকাঠামো গড়ার জন্য জমি চেয়েছে মন্ত্রীর চিঠিতে তারও উল্লেখ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক সবরকমের সহযোগিতার হাত বাড়াবে। সাংসদ জন বারলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি। হাসিমারা থেকে যাত্রীবাহী বিমান যাতায়াত করলে উত্তরবঙ্গের মানুষের খুব সুবিধা হবে।

Advertisement

কোচবিহারে চালু করেও লাভ হয়নি

কোচবিহারে পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলেও চালু করা সম্ভব হয়নি বিমানচলাচল। মাঝে চালু হলেও যাত্রী না হওয়ায় বিমান চালাতে পারেনি একটি বেসরকারি সংস্থা। ছোট বিমান চালিয়ে জ্বালানির খরচও তুলতে পারেনি।এখন বিমানবন্দর চালু হলেও তাতে যাত্রী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও, কেন্দ্রীয় সরকার ও সাংসদ আশাবাদী এই বিমানবন্দর সফল হবে।

 

Advertisement