৫০ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার
চলতি মাসের পাঁচ তারিখ মনিপুর থেকে কোলকাতা পাচারের পথে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকার গাঁজা উদ্ধার করেছিলো আবগারি দপ্তর। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রবিবার রাতে শামুকতলা থানা এলাকার দুর্গাবাড়ি পেট্রল পাম্প সংলগ্ন ৩১ সি জাতীয় সড়কে আবগারী দপ্তর নাকা চেকিং করে ৪৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। যার বর্তমান বাজার দর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতার ২
দুর্গাবাড়ি এলাকায় জাতীয় সড়কে একটি কন্টেনার আটক করে আবগারি দপ্তর এই বিপুল টাকার গাঁজা উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আবগারি দপ্তর দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আবগারি দপ্তর জানিয়েছে, ধৃত দুই মাদক দুষ্কৃতীর নাম দীনু বিশ্বাস ও ছোটন সরকার। ধৃত দু’জনেরই বাড়ি আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের যশোডাঙায়। ধৃত দু’জন ক্যারিয়ার হিসাবে এই মাদক পাচারের কাজ করছিল।
ত্রিপুরা থেকে বিহার যাওয়ার পথে আটক
আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আটক এই গাঁজা ত্রিপুরার আগরতলা থেকে বিহারের পাটনায় যাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আবগারি দপ্তরের বিশেষ টিম আগে থেকেই দুর্গাবাড়ি এলাকায় জাল পেতেছিল। তারপরেই কন্টেনারটিকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল টাকার এই গাঁজা। গ্রেপ্তার করা হয় দু’জনকে।
পুরো চক্র ধরতে ফাঁদ পাতছে আবগারি দফতর
আবগারি দপ্তরের আলিপুরদুয়ারের সুপারিনটেনডেন্ট উগেন সেওয়া বলেন, ধৃতদের মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি বিশেষ নারকোটিক্স আদালতে পাঠানো হবে। আবগারি দপ্তরের আধিকারিক উগেন সিয়ান জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে থেকে দক্ষিনবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশে গাঁজা পাচারের একটি বিরাট চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। উগেন সিয়ান বলেন গাঁজা পাচারের ঘটনায় আন্তরাজ্য গাঁজা পাচারচক্র জড়িত৷ অভিযুক্তদের রিমান্ডে নিয়ে এই চক্রের বাকি পান্ডাদের ধরা হবে।
চেকপোস্টে কি করে ছাড়, খতিয়ে দেখছে দফতর
গাঁজা পাচারের মূল করিডোর হিসেবে গাঁজা পাচারকারীরা অসম হয়ে ৩১ সি জাতীয় সড়ক ধরে অসম বর্ডার পার করে আলিপুরদুয়ার হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গাঁজা পৌঁছে দেয়। তবে খোদ আবগারি দপ্তরের প্রশ্ন গাঁজা বোঝাই এই ট্রাকগুলো কীভাবে অসম সীমানা পার করে বাংলায় ঢুকে পড়ছে। অসমের সীমানা পার করতে হলে অনেকগুলো চেকপোস্টে গাড়িগুলো পরীক্ষা করা। তারপর বাংলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে অসম সীমানার চেকপোস্টে ও সক্রিয় রয়েছে গাঁজা পাচারের চক্র।