Rhino Naming: সুন্দরী, টারজান, বোতল সিং এগুলি বোধহয় ইতিহাস হয়ে থেকে যাবে। এগুলি সব গরুমারায় গণ্ডারদের নাম। যাকে যেমন দেখতে লাগে, তাদের তেমন নাম জোটে। এই নামগুলিই তাদের পরিচয় ছিল। কিন্তু নতুন করে এমন নাম আর দিতে পারছেন না বনকর্মীরা। যা নিয়ে অনুশোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তাঁরা। কেন আসুন জেনে নিই ব্যাপারখানা কী?
এ এক আজব সমস্য়া। গণ্ডারের নামকরণ করতে গিয়ে বিপাকে বন দফতর। কারণ জানলে আপনিও বিস্মিত হবেন। কারণ তাঁরা আলাদা করে গণ্ডারগুলিকে চিনতেই পারছেন না। যার কারণে বেশ কিছুদিন হম্বিতম্বি করে আপাতত রণে ভঙ্গ দিয়েছেন তাঁরা। তবে আপাতত বন্ধ রাখলেও তাঁরা যে চিনতে পারলে ভবিষ্যতে ফের যে কোনওদিন নাম দিয়ে ফেলতে পারেন, তা অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তার আগে আদব-কায়দা কিংবা বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেতে হবে রাইনোকুলে সদস্যদের মধ্যে,যা অন্যদের মধ্যে নেই।
জানা গিয়েছে গণ্ডারগুলির মধ্যে আলাদা করে কোনো শনাক্তকরণ বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাচ্ছেন না বন দফতরের কর্মীরা। একই চেহারার কারণে বারবার ধোঁকা খাচ্ছে বন দফতর। কয়েক বছর ধরে গরুমারায় বন্ধ রয়েছে গন্ডারদের নামকরণের কাজ। তবে গরুমারার গন্ডার গণনার কাজ অবশ্য চলছে।
গরুমারার জীবিত কিংবা মৃত এই গন্ডারদের শারীরিক গঠনের ওপর ভিত্তি করে কয়েক বছর আগে নামকরণের কাজ করেছিল বন দফতর। তাদের প্রত্যেকের সচিত্র পরিচয়পত্র ছিল বন দফতরের কাছে। কিন্তু গত কয়েক বছরে গরুমারার গন্ডারের সংখ্যা ৫০ এর বেশি হয়ে গেলেও নতুন করে নামকরণ আর করা হচ্ছে না গন্ডারদের। কারণ হিসেবে বন দফতর জানাচ্ছে, আগে গন্ডারের সংখ্যা ছিল কম, তাই তাদের চেহারার কোনও না কোনও তারতম্য খুঁজে পাওয়া ছিল সহজ। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি থাকায় গন্ডারদের শারীরিক গঠন একই হওয়ায় তাদের আর আলাদা করে চেনা সম্ভব হয়ে উঠছে না বনকর্মীদের পক্ষে। তাই আর নতুন করে নামকরণ হচ্ছে না গরুমারার গন্ডারদের।
উত্তরবঙ্গের বন্যপ্রাণী বিভাগের বনপাল ভাস্কর জেভি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অনেক নতুন গন্ডার শাবক রয়েছে গরুমারায়। যাদের শরীরের গঠনে এখনও পার্থক্য তৈরি হয়নি বা বোঝা যাচ্ছে না। এগুলো একটু বড় হলে বিশেষ বৈশিষ্ট্য মিলতে পারে। তখন নামকরণ করা হবে।