শিলিগুড়িতে শুরু মরশুমি আতশবাজি বাজার, কতদিন চলবে?Siliguri Bazi Bazar: রবিবার থেকে শিলিগুড়ি সংলগ্ন কাওয়াখালিতে শুরু হল বাজি মেলা। শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে এই বাজি বাজার চালু করা হল। এটাই শিলিগুড়িবাসীর জন্য মূল বাজি বাজার। এ ছাড়াও আরও দুটি বাজি বাজার চালু করা হয়েছে শহরতলির বাসিন্দাদের জন্য।
কতদিন চলবে বাজি বাজার?
রবিবার ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে এই বাজি মেলা বা বাজি বাজারটি আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। রবিবার বিকালে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসকরা মেলার উদ্বোধন করেন। এ বছর মেলায় ৫০টি বাজির স্টল বসেছে।
শহরতলির কোথায় বাজার বসবে?
কাওয়াখালি ছাড়াও শিলিগুড়ি মহকুমার মাটিগাড়া, শিবমন্দির, বাগডোগরা ও নকশালবাড়িতে ছোট আকারের বাজি মেলা করা হচ্ছে। মাটিগাড়ায় ৮ টি, শিবমন্দিরে ১১ টি, বাগডোগরায় ১৫ টি ও নকশালবাড়িতে ৫ টি করে বাজির স্টল থাকবে।
কী কী বাজি বিক্রি করা যাবে?
সবুজ আতসবাজি (গ্রিন ক্র্য়াকার) ছাড়া নিষিদ্ধ অন্য কিছু স্টল থেকে বিক্রি করা হলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তবে মেলা চলাকালীন যাতে খুচরো বাজারে আতশবাজি বিক্রি না হয় সেদিকে ব্যবসায়ীরা নজর রাখছেন। আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির দার্জিলিং জেলার সভাপতি সুদীপ্ত ভৌমিক জানিয়েছেন, বাইরে যাতে বাজি বিক্রি না হয়, তা নজরে রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানান হয়েছে।
শিলিগুড়িতে আতসবাজির বড় বাজার রয়েছে। সেই কারণে দীপাবলির অনেক আগে থেকে ব্যবসায়ীরা বাজি মজুত করতে শুরু করছেন। তবে বাজির দাম বেশ চড়া। তবু সে সব উপেক্ষা করে বাজির বাজারে ভিড় করছেন ক্রেতারা। তবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে অর্থাৎ দিওয়ালির আগের সপ্তাহে বাজির বাজারে বিক্রিবাট্টা তুঙ্গে উঠবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা।