বিধ্বংসী ঝড়ে লন্ডভন্ড ময়নাগুড়ি, ইসলামপুর। রাস্তার গাছ পড়ে গুরুতর জখম অবস্থায় বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক যুবক। তাঁর বাড়ি ময়নাগুড়ি শহর লাগোয়া ব্যাংকান্দি এলাকায়। পিকআপ ভ্যান নিয়ে ব্যবসার কাজে বেরিয়েছিলেন তিনি। বিবেকানন্দ পল্লির কাছে ময়নাগুড়ি-ধূপগুড়ি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গাছ ভেঙে পড়ে গাড়ির উপর। গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে ওই ব্যক্তির পেটে ঢুকে যায় বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে ঝড়ে বারোঘরিয়া এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধার। মৃত ওই বৃদ্ধার নাম খাগরেশ্বরী সিংহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে ঝড়ে ঘরের উপর আম গাছ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
শনিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি ও প্রবল ঝড় শুরু হয়।ঝড়ে বহু ঘরবাড়ি তছনছ হয়ে গিয়েছে। ভেঙে পড়ে গাছ। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক। প্রশাসনের তরফে সিভিল ডিফেন্সের জওয়ানদের কাজে নামানো হয়েছে। ময়নাগুড়ি ছাড়াও আশপাশ এলাকায় ঝড়ের তাণ্ডবের খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ি শহর এলাকা।
অন্যদিকে, শনিবার কয়েক মিনিটের ঝরে তছনছ হয়ে গিয়েছে ইসলামপুর শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের বহু এলাকা। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর ব্লকের একাধিক গ্রামে প্রায় কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শহরের একাধিক রাস্তার উপর গাছ ভেঙে পড়েছে। ইসলামপুর থেকে দাড়িভিট যাওয়ার রাজ্য সড়কের পাশে থাকা বড় গাছ ভেঙে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। শহর থেকে গ্রাম সমস্ত এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে তৎপরতার সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই ঝড়ের কারণে চাষাবাদেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেসব বাড়িতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেইসব বাড়িতে প্রাথমিকভাবে ত্রিপল দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। তবে চাষের জমিও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । বর্তমানে ভুট্টা, শশা ,ঢ্যাঁড়শ, সহ একাধিক চাষের জমি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকেরা। ইসলামপুরের বিডিও বিডিও দীপান্বিতা বর্মন জানান, পন্ডিতপোঁতার বিভিন্ন গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন দফতর ও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরে তারা কাজে নেমেছেন।