scorecardresearch
 

Mirik 200 Crore Water Project: জলের সমস্যা অবশেষে মিটছে? ২০০ কোটির প্রকল্প পাচ্ছে মিরিক

রামভাং নামে একটি পাহাড়ি নদীর স্রোত থেকে জল তোলা হবে। এই নদীটি শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিমি দূরে অবস্থিত এবং এটি মিরিকের কাওলায় একটি জলাধারে নিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে‌ দেওয়া হবে।

Advertisement
পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মিরিকে উদ্যোগ, ২০০ কোটির প্রকল্প পাচ্ছে লেকসিটি পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে মিরিকে উদ্যোগ, ২০০ কোটির প্রকল্প পাচ্ছে লেকসিটি

দার্জিলিং পাহাড়ে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে দার্জিলিং শহর ও মিরিক পুরসভায় সমস্য়া খানিকটা বেশি। এই সমস্য়া নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন পাহাড়ের মানুষ। বিশেষ করে গরমের সময় প্রতি বছরই জল সঙ্কট দেখা যায়। দার্জিলিংয়ে শ্রীখোলায় জলাধার তৈরি হয়েছে। তাতে কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন সাধারণ মানুষ। এবার মিরিকও মুক্তি পেতে চলেছে জলসঙ্কট থেকে। অম্রুত জল প্রকল্পে এই জলাধার তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে। কাজটি করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।

জানা গিয়েছে রামভাং নামে একটি পাহাড়ি নদীর স্রোত থেকে জল তোলা হবে। এই নদীটি শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিমি দূরে অবস্থিত এবং এটি মিরিকের কাওলায় একটি জলাধারে নিয়ে সংরক্ষণ করা হবে। সেখান থেকে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে‌ দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মিরিক শহরের জন্য তিনটি বড় প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মিরিকের জন্য প্রায় ২০০ কোটি ব্যয় হবে একটি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে। সেই সঙ্গে সেজে উঠবে দার্জিলিং জেলার অন্তর্গত মিরিক পাহাড়। স্বাস্থ্য পরিষেবার মান বাড়াতেও প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

পরিকল্পনা কীভাবে রূপায়ন?
তিনটি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং একটি শহরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য।দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাপ চিত্তরঞ্জন বর্মন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন,  মিরিক শহরের পানীয় জল প্রকল্পটি AMRUT 2.0 প্রকল্পের আওতায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার যৌথভাবে গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করবে PHE এবং MED, যার জন্য ১৭০.১০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।”

এর আগে তৎকালীন  দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল মিরিকের পানীয় জলাধার নির্মানের চেষ্টা করেছিলেন। সেটা ২৭ বছর হয়ে গিয়েছে। তারপর ডিজিএইচসি যাওয়ার পর গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এসেছে তাও এক দশক হয়ে গেল। প্রকল্পটি মঞ্জুশ্রী কোম্পানী গ্রহণ করেছিল এবং মে ১৯৯২ এর শুরু থেকে নির্মাণ শুরু হয়েছিল কিন্তু কাজ শেষ না করেই বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১০ সালে সূর্য ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা কাজটি পুনঃসূচনা করা হয়েছিল কিন্তু এবং কাজটি ২০১২ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০১৪ এর মধ্যে এটির অর্ধেক পথ শেষ হয়ে গেছে এবং প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কাছাকাছি নেই।

Advertisement

কিন্তু এতদিন কেন্দ্র-রাজ্য কোনও পক্ষ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শেষ পুরভোটে মিরিকে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। তারপর ফের উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়। অবশেষে সেই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। 

 

Advertisement