কোচবিহারের সভা থেকে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে চোর বলেছে কয়েকজন তা নিয়ে রীতিমতো অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,'ওদের এত বড় সাহস যে আমাকে বলছে চোর?'
কোচবিহারের সভা থেকে একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলের সরকারের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন। তারমধ্যেই অভিযোগ করেন তাঁকে চোর বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি আমাকে বলছে চোর। এত বড় সাহস? ডাকাতের ডাকাত। ভারতবর্ষকে লুট করেছে। বাংলাকে লুট করেছে। আমি একটা চা-ও কারও পয়সায় খাই না। সার্কিট হাউসে থাকলে নিজের পয়সায় থাকি। লজ্জা করে না! একদিন মানুষ ওদের জিভ খসিয়ে দেবে। জিভ খসে পড়বে মিথ্য়ে কথা বলার জন্য। যদি আমার ধর্মের প্রতি কোনও বিশ্বাস থাকে।'
কোচবিহারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর দলের বা সরকারের কেউ যদি দুর্নীতি করে থাকে, সেই দায়িত্ব তিনি নেবেন না। তাঁর কথায়, 'আমাদের হাতে পাঁচটা আঙুল আছে। কোনওটা ছোটো, কোনওটা বড়। ১০০ শতাংশের মধ্যে যদি ১ শতাংশ লোক চুরি করে তাহলে তার দায়িত্ব সরকার বা দল নেবে না।'
কোচবিহারের সভা থেকে রাজবংশীদের জন্য একাধিক ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই রাজবংশী সম্প্রদায়ের তরফে নিজস্ব ভাষার মাধ্যমের স্কুলের দাবি ছিল। সেই দাবী পূরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ' ‘আজকে আমি একটা বড় কাজ করলাম। এখানে অনেক ছোট ছোট রাজবংশী স্কুল ছিল। কিন্তু সেগুলির সরকারি অনুমোদন ছিল না। আজকে আমি এই মঞ্চ থেকে ২১০টি স্কুলের সরকারি স্বীকৃতির কথা ঘোষণা করছি। এই স্কুলে শিক্ষকরা এবার রাজ্যের অন্যান্য স্কুলের শিক্ষকদের ন্যায় বেতন পাবেন।'
এই সভা থেকে বামফ্রন্ট ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বামফ্রন্ট ৩৪ বছরে কিছু করেনি। '৩৪ বছর বামফ্রন্ট ছিল কিছু করেছে? কোচবিহারের মানুষকে দেখত? আগেরবার বিজেপির সাংসদ জিতল, কী করেছে? আমি করে দিলাম এয়ারপোর্ট আর বাবু প্লেন চরে এসে বলছে আমি করেছি? জমিদার বাবু?' বলেন তিনি।
বিজেপি-কে নিশানা করে বলেন, 'ওরা তো একদিন ঘাস পুঁতেও দেখেনি, ঘাস কীভাবে পুঁততে হয়! জল প্রকল্পে বলছে, হাম নে ঘর ঘর মে জল দিয়েছি! আমি বলি, কত টাকা দিয়েছেন? ২৫ শতাংশ দিয়েছে। আর বাকি আমরা দিয়েছি।'