লোকসভায় ভোট শুরু হতে হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। তার আগে আবারও সিএএ-র পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সকলকে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বললেন তিনি। তিনি নিজেও আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। এদিকে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভাঁওতা দিচ্ছেন বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।
বুধবার ঠাকুরনগরে তিনি বলেন, 'আপনারা সিএএ-তে আবেদন করুন। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনটা আমরা দেখে নেব। ওটা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক যেমন হয়েছিল, হাতের ছাপ, সেরকমই ক্যাম্প করে ভেরিফিকেশনের কাজ করা হবে। যারা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইন আনা হয়েছে। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কোথাও বলা নেই এটা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। যিনি চাকরি করছেন তিনিও আবেদন করতে পারেন। আমি তো বারে বারে বলছি। আমিও আবেদন করব। কোনও কিছু হবে না আবেদন করলে। আমি তো এখানকার নাগরিক।'
এদিকে, শান্তনু নিজেও নাগরিকত্ব পাওয়ার আবেদন করবেন বলে দাবি করাতে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিএএ নিয়ে ভাঁওতা দিচ্ছেন বলে পাল্টা বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন। তিনি বলেন, 'প্রচণ্ড গরমে ও হারার ভয়ে শান্তনু মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। সিএএ নিয়ে আগেও তাঁকে সকাল ও বিকেলে দুরকম কথা বলতে শুনেছি। তিনি নিজে একবার বলছেন আবেদন করব, আবার বলছেন আবেদন করব না। তিনি আবেদন করুন। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন, তিনি আবেদন করা মানেই তিনি মেনে নিচ্ছেন যে এখনও পর্যন্ত তিনি ভারতের নাগরিক নন। তাহলে তিনি এতদিন সাংসদ ও কেন্দ্রের মন্ত্রী কী করে থাকলেন? এখন তিনি কীভাবে প্রার্থী হবেন?'
কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, 'মানুষ বুঝে গিয়েছে এটা আরও একটা জুমলা। নির্বাচনের আগে সিএএ একটা পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে বিজেপি। ভাবুন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি আবার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করবেন। তাহলে কি উনি ভারতের নাগরিক না হয়েও সাংসদ ও মন্ত্রী হয়ে গেলেন। কত বড় জুমলা ও ভাঁওতার ওপরে ভর করে ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। ভাঁওতা দেওয়ারও তো একটা লিমিট আছে?'