২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই) এই কথা ঘোষণার পরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল জনপরিসরে। কী ভাবে নোটবদল করা যাবে, তা জানিয়ে দেওয়া হলেও, নানা মুনির নানা মতে বিভ্রান্ত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। কেন্দ্র সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর বিরোধীতা শুরু হয়েছে নানা মহল থেকে। ২ হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে তুঘলকি বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার শালবনীর সভা থেকেই নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তিনি।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ আগেই জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘২ হাজার টাকার নোট বাতিল একটি খামখেয়ালি এবং তুঘলকি নাটক। যা সাধারণ মানুষকে আবারও ব্যাপক হয়রানির মধ্যে ফেলবে। আসলে মৌলিক ভাবে জনবিরোধী এবং আগ্রাসী পুঁজিবাদকে সাহায্য করা সরকারকে আড়াল করতেই এই সব অসাধু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের এই ধরনের পদক্ষেপ জনগণ কখনও ভুলবে না।’’
এদিন শালবনীর সভা থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘দোকানদাররা ২ হাজারের নোট নিচ্ছেনা। ১৬ সালেই তো করলেন। আজকে আবার নোটবদল কেন। আমার তো মনে হচ্ছে, এই টাকাটা কোনো পলিটিক্যাল পার্টি মজুদ করে রেখেছে। আমার বাড়ি ও অফিসে খুঁজে ৮টা নোট বেড়িয়েছে। আমরা বড় নোট ব্যবহার করি না। ফেরত পাওয়া প্রবলেম। ওদের কাজই হচ্ছে সব বদলে দাও। শুধু নিজেদের নাম থাকবে। দেশকে সবসে বড়া কুমির কৌন হ্যায়।’
এক বিজ্ঞপ্তিতে আরবিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে ২ হাজার টাকার নোট ব্যবহার বন্ধ করতে ব্যাঙ্কগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে আরবিআই। ২ হাজার টাকার নোট থাকলে, তা ২৩ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে জমা করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে।
আরবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সময় ৫০০ এবং ১ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় নোটের ঘাটতি পূরণ করতে বাজারে ২ হাজার টাকার নোট আনা হয়েছিল। বর্তমানে অন্য নোটগুলির জোগান যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। তাই ২০১৮-’১৯ সালে ২ হাজার টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।