আবর্জনার মধ্যে পড়ে রয়েছে একগুচ্ছ আধার কার্ড। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির কানকাটা মোড় এলাকায়। খবর চাউর হতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে যায়। অন্যদিকে, ওই আবর্জনা থেকে একজন তাঁর আধার কার্ডও খুঁজে পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ। কার্ডগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
পড়ে ছিল গুরুত্বপূর্ণ নথি-
শিলিগুড়ি ইস্টার্ন বাইপাস সংলগ্ন এই এলাকায় একটি ফাঁকা জমিতে কাগজ কুড়ানিরা প্রতিদিন আবর্জনা এনে শুকোতে দেয়। মঙ্গলবার সকালে বেশ কয়েকজন কাগজ কুড়ানী তারা ওই এলাকার একটি ফাঁকা জায়গায় কাগজ শুকোতে দেয়। তবে এই কাগজের সঙ্গে ছিল প্রায় কয়েক হাজার আধার কার্ড সহ ব্যাঙ্কের পাস বই, এটিএম সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র। বিষয়টি তখনই এলাকার ব্যাবসায়ীরা দেখতে পান প্রায় কয়েকশো আধার কার্ড সেখানে শুকোচ্ছে। ওই ব্যবসায়ী পড়ে থাকা একটি কার্ড তুলে নিয়ে সেখানে লেখা ফোন নাম্বারে ফোন করে দীপু অধিকারী নাকে এক ব্যক্তিকে ডাকেন। তিনি এসে তার মেয়ের আধার কার্ড সেখানে পেয়ে যান।
কীভাবে চোখে পড়ে কার্ডগুলি-
ওই ব্যাবসায়ী জানান, এলাকার কুড়ানিরা প্রতিদিন এখানে এসে নানান নোংরা জিনিসপত্র ফেলে। কিন্তু এদিন তারা চলে যাওয়ার পর হঠাৎ দেখি আধার কার্ড পড়ে রয়েছে। কাছে যেতেই দেখতে পাই একটা দুটো নয় কয়েকশো কার্ড রোদে শুকোচ্ছে। তারপর তারা সেগুলো বিক্রি করে দেবে। কোথা থেকে এনেছে তা আমরা জানিনা। এদিকে মেয়ের কার্ড পেয়ে দীপু অধিকারী ওই ব্যাবসায়ীকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন।
এদিন তিনি বলেন অনেকবার পোষ্ট অফিসে খোঁজ নিয়েও মেয়ের কার্ড পাইনি। আর দেখুন এই আবর্জনায় ওর কার্ড পড়ে রয়েছে। সরকারি কাজে এরকম গাফলতি মেনে নেওয়া যায়না। এগুলো সব গুরুত্বপূর্ণ নথি।
তদন্তে পুলিশ-
অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আশিঘর থানার পুলিশ। তারা এসে কার্ডগুলো ব্যাগে করে থানায় নিয়ে যান। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। কার্ড গুলো কোথা থেকে পেয়েছে তা জানার জন্য কুড়ানিদেরও খুঁজছে পুলিশ।