scorecardresearch
 

"BJP-র পরিকল্পিত চক্রান্ত", জনের দাবিতে আক্রমণ অধীরের

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, উত্তরবঙ্গ যাতে নিজেদের বঞ্চিত মনে না করে সেটাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেখতে হবে। তিনি বলেন, শিল্প যা দক্ষিণবঙ্গে হয়েছে তা উত্তরবঙ্গের হয়নি। এই ব্যবধান মেটানোর জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বিজেপি বা অন্য কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংকীর্ণতা প্রবেশ করাতে না পারে সেই জন্য সরকারকেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও জন বার্লা (বামদিক থেকে) অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও জন বার্লা (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • জন বার্লার দাবিতে ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে রাজনীতি
  • "বাংলাকে ভাগের চক্রান্ত আগেও হয়েছে"
  • মন্তব্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

"বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত আগেও হয়েছে, কখনও গোর্খাল্যান্ড তো কখনও কামতাপুরী আন্দোলনকে সামনে রেখে। উত্তরবঙ্গে বরাবর একটা এই ধরনের রাজনীতি হয়ে থাকে। গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন থামানো হয়েছে, কিন্তু কামতাপুরী আন্দোলন কী অবস্থায় রয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই। সামগ্রিকভাবে উত্তরবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে সেখানকার মানুষের সমৃদ্ধি হবে, এইরকম একটা রাজনৈতিক প্রচার স্বাধীনতার পর থেকেই রয়েছে। বিজেপিরও এটা পরিকল্পিত প্রচার।" জন বার্লার মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটাই প্রতিক্রিয়া দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। 

একইসঙ্গে অধীর বলেন, উত্তরবঙ্গ যাতে নিজেদের বঞ্চিত মনে না করে সেটাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দেখতে হবে। তিনি বলেন, শিল্প যা দক্ষিণবঙ্গে হয়েছে তা উত্তরবঙ্গের হয়নি। এই ব্যবধান মেটানোর জন্য সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষের কথা ভাবতে হবে। এক্ষেত্রে বিজেপি বা অন্য কোনও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে সংকীর্ণতা প্রবেশ করাতে না পারে সেই জন্য সরকারকেই চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীর বলেন, "বিজেপি (BJP) সংগঠিত দল, তাই তাদের দলের একনেতার কথা অপরনেতা জানেন না তা বিশ্বাস করি না। এটা একটা পরিকল্পিত চক্রান্ত।" এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। 

প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গড়ে তোলার দাবি জানান বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। বিজেপি সাংসদের সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা বাংলা জুড়ে। তৃণমূল (TMC) অভিযোগ তোলে, বাংলাকে ভাগ করা চক্রান্ত করছে বিজেপি। একইসঙ্গে কোনওভাবেই বাংলকে ভাগ করতে দেওয়া হবে না বলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই জন বার্লার বিরুদ্ধে কোচবিহারে এফআইআর-ও দায়ের করেছেন এক তৃণমূল নেতা। 

এদিকে আবার জন বার্লা (John Barla) এই দাবি করলেও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফ জানিয়েদেন, "বিজেপি এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।" পাশাপাশি দলের রাজ্য কমিটিতে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তারপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যেখানে দলের রাজ্য সভাপতি ও বিধানসভার দলনেতা এই ধরনের কোনও বিষয়কে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না সেখানে কীভাবে এমন দবি তুললেন জন বার্লা? 

Advertisement


 

Advertisement