অবসরের পর পাচ্ছেন না পেনশন (Pension)। এই অভিযোগ তুললেন প্রাথমিক শিক্ষক (Primary Teacher)-রা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে আত্মহত্যা (Suicide) করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। বুধবার হাওড়া (Howrah)-য় বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এদিন হাওড়ার প্রাথমিক শিক্ষক ডি আই-এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলেন। পেনশন না পাওয়ার সমস্যা অবিলম্বে মেটানোর দাবি তোলেন।
হাওড়া শিক্ষা ভবনের সামনে নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (All Bengal Primary Teachers' Association বা ABPTA)-র হাওড়া জেলা শাখা বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। এর প্রতিবাদে হাওড়া শিক্ষা ভবনের ডি আই-এর কাছে ১২ দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সমিতির হাওড়া জেলার শিক্ষকরা।
তাদের দাবি, তারা দীর্ঘদিন আগে অবসর গ্রহণ করার পরেও তাদের পেনশন এখনো চালু হয়নি। শিক্ষা দফতর থেকে শুরু করে হাওড়া শিক্ষা ভবনে বারবার দরবার করা হয়েছে। তবে তার পরও তাদের কোনও সুরাহা হয়নি। এবং যেসব স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক স্কুল চালাচ্ছেন, সেসব স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে না।
তার ফলে সেই শিক্ষকের কোনও রকম শারীরিক অসুস্থতা হলেও তিনি ছুটি নিতে পারছেন না। একজন শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালানো যায় না। এমনই বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকরা এই ডেপুটেশন দিলেন শিক্ষকরাও।
তারা জানালেন, পেনশনের টাকা হাতে না পেয়ে তারা না খেয়ে মরতে বসেছে। জানুয়ারির মধ্যে যদি কোনও সুরাহা না হয়, তারা আগামী দিনে সপরিবারে আত্মহত্যা করবেন। এবং বললেন হাওড়া শিক্ষা ভবনের সামনে তারা অবস্থান করবেন এবং আত্মহত্যা করবেন।
শিক্ষকদের অভিযোগ, অবসরের পর কারও কেটে গিয়েছে ১ বছর আবার কারও তার থেকে বেশি। তবে অবসর গ্রহণ করার পরেও তাদের পেনশন চালু হয়নি। অথচ রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে মানুষের জন্য দুয়ারে পৌঁছেছেন।
অথচ যারা কাজ করে অবসর নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন, কাজ করে মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরা তারাই আজ অবহেলিত। এবং বঞ্চিত রাজ্য সরকারের এই দুচোখ নীতির বিরুদ্ধে আজকে তারা গর্জে উঠলেন এবং আন্দোলন সংগঠিত করলেন।