ফুরফুরায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে তুমুল উত্তেজনা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন নওশাদ সিদ্দিকি। আইএসএফ বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূল বেআইনিভাবে বোর্ড দখলের চেষ্টা করছে। আর সবকিছু দেখেও পুলিশ কিছু করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ফুরফুরায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের কথা ছিল। সেই মতো তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা হাজির হয়ে যান। এদিকে বোর্ড গঠনে বাধা দেয় বিরোধীরা। ISF ও CPM কর্মী-সমর্থকদের দাবি, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। ফলে এখনই বোর্ড গঠন করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সূত্রের খবর, পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোঁড়া হয়। এলাকায় তীব্র হই-হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।
ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত
ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৯টি। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২৪-৫ রেজাল্টে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। কিন্তু বিরোধী CPM-ISF-এর দাবি, এই ফলাফল ভিত্তিহীন। তাদের দাবি, ২২টি আসনে তারা এগিেই ছিল। কিন্তু তাদের ভোট গণনা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
জাঙ্গিপাড়ার গণনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সিপিএম-এর দাবি, হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও তৃণমূল বোর্ড গঠন করছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে, অভিযোগ সিপিএম-এর।
ফুরফুরার পিরজাদা কাশেম সিদ্দিকিও বলছেন, আসলে ভোটে ISF-ই জিতেছে। কিন্তু তৃণমূল জোর করে জিতেছে। এই বিষয়ে আদালতে গিয়েছি। বিষয়টি বিচারাধীন। আমরা প্রতিবাদ করতেই বিদায়ী প্রধান শামিম আহমেদের লোকজন বোমাবাজি করেছে।
অন্যদিকে সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, শান্ত ফুরফুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে আইএসএফ। আদালতের এমন কোনও অর্ডার নেই, যাতে বলা হয়েছে যে বোর্ড গঠন করা যাবে না। গাজোয়ারি করে ওরা পঞ্চায়েতে তালা মেরে দিয়েছে।