অবিরাম বর্ষণের কারণে সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের মামখোলা এলাকায় নামল বিশাল ধস। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ২ শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে বলে খবর। নিখোঁজ এখনও ৭ জন। তাঁদের খোঁজে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাসি শুরু করেছে উদ্ধারকারী দল। কালিম্পং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোররাতে কালিম্পংয়ের মামখোলায় ওই প্রকল্পের একটি ক্যাম্প ধসে যায়। সেখানেই নাইট শিফটে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক জনের।
ধসের কারণে বন্ধ জাতীয় সড়ক
অন্যদিকে, প্রবল বর্ষণ এবং দফায় দফায় ধসের কারণে বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর ফলে শিলিগুড়ি ও সিকিমের মধ্যে সম্পূর্ণ রকম ভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ল। যার জেরে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। শুক্রবার সকালে, মল্লি বাজারের সামনে ধস নামে।
বিচ্ছিন্ন শিলিগুড়ি-সিকিম-কালিম্পং
গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর ও দিক্ষণবঙ্গ জুড়ে চলছে প্রবল বর্ষণ। বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখার অবস্থানের কারণেই এই বৃষ্টিপাত বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। পাহাড়ে বৃষ্টিপাতের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই ছোটখাটো ধস নেমেই চলেছে। রীতিমতো প্রাণ হাতে করেই শিলিগুড়ি, সিকিম ও কালিম্পংয়ে মধ্যে যানবাহন চলাচল করছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে হঠাৎই মল্লি বাজারের সামনে ধস নেমে গোটা রাস্তাটিই বসে যায়। ফলে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।
শুধুমাত্র মল্লি বাজার এলাকাতেই নয়, গত কয়েকদিন ধরে এই জাতীয় সড়কের মঙ্গমায়া, ভালুখলা এবং তারখোলাতেও ধস নেমে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রবল বর্ষণের কারণে নতুন করে এই তিন জায়গায় আবারও ধস নামায় এবার গোটা জাতীয় সড়কটিকেই বন্ধ করে দিল প্রশাসন।
তৎপর প্রশাসন, চলছে উদ্ধারকাজ
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ধস সরিয়ে রাস্তা ঠিক করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে, যেভাবে ক্ষতি হয়েছে রাস্তার, তাতে যান চলাচলের জন্য স্বাভাবিক কবে থেকে করা যাবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।