মুখ্যমন্ত্রীর সফরের এদিন ছিল দ্বিতীয় দিন। আসানসোল স্টেডিয়ামে কর্মী সম্মেলনে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই রাজ্যের কর্মসংস্থান নিয়ে আশার আলো দেখালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আসানসোল লোকসভা তৃণমূল দখলের পর এটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখানে প্রথম জনসভা। এদিন আসনসোলবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে, শত্রুঘন্ সিনহার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর এখানেই কেন্দ্রের অগ্নিবীর নিয়ে কেন্দ্রকে ফের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ' রেলে ৮০ হাজার পদ তুলে দেওয়া হয়েছে। চাকরি পাবেন কী করে? বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে। ২০২৪-এর ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে। ' অগ্নিপথ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, , ৪ বছর ধরে সারা ভারতবর্ষের একবার ২০ হাজার , আরেকবার ৪০ হাজার লোক নেবে বলেছে কেন্দ্র। দেখতে গেলে, একটা রাজ্যের ভাগে এক হাজার ছেলেমেয়ে সুযোগ পাবে না ! সুযোগ পেলেও তার আয়ু হবে ৪ বছর, তারপর কী হবে ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ' ৪ বছর পর অগ্নিবীরদের চাকরি দিতে রাজ্যকে বলা হচ্ছে। তোমাদের পাপ আমরা নেব কেন? ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের পর অগ্নিবীরদের সব বাড়ি যাও, ললিপপ না। বলা হবে চাকরির জন্য রাজ্যগুলোর কাছে যাও। ' আর এখানেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, অগ্নিবীরদের চাকরি দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, চাকরি হবে স্থানীয়েদর, তোমাদের (বিজেপির) পাপ নেব কেন?
পশ্চিম বর্ধমান জেলাজুড়ে চলা মমতা সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির প্রসঙ্গও এদিন তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, 'অন্ডাল বিমানবন্দর, কাজি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল সব আমরা তৈরি করেছি।' এই কর্মিসভায় তিনি কেন্দ্র তথা বিজেপি সরকারকে আক্রমণের নিশানা বানান। তাঁর খোঁচা, 'বিজেপি ২৪-এর ভোটের আগে ললিপপ দেখাচ্ছে। আর যারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন, তাঁদের সিবিআই-ইডি, আয়কর দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। দেশব্যাপী কৃষকদের কী অবস্থা?' তাঁর দাবী, 'খারাপ লোকেদের আমি নাম উচ্চারণ করি না। কারণ আমি কখনও খারাপ কাজের পক্ষে থাকি না। সত্যি কথা বলা সোশাল মিডিয়ার পক্ষে আমি। বিজেপি সোশাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিও ছড়ায়।'
এদিন এই সভায় চাকরিপ্রার্থী কয়েকজন নিয়োগের দাবিতে হঠাৎই স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই বিষয়গুলো কোর্টে আছে। আপনারা কোর্ট অর্ডার নিয়ে আসুন, আমার হাতে ১৭ হাজার নিয়োগ তৈরি। রাজ্য মন্ত্রিসভায় আরও পাঁচ হাজার শূন্যপদ তৈরি করেছি। কোর্ট বললেই নিয়োগ করব। কারণ আপনারা কোর্টে গিয়েছেন, তাই কোর্ট অর্ডার ছাড়া আমি নিয়োগ করতে পারব না। আদালতে অনুমতি না দিলে আমি কীভাবে চাকরি দেব?' তিনি জানান, কাল আমি আপনাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। রোজ রোজ এসব করবেন না। এভাবে প্রতিবাদের পিছনে বিজেপি-সিপিএম-র মদত রয়েছে।