উত্তরবঙ্গের ইটাহারে বিজেপি যুব মোর্চা সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষ খুন হয়েছেন। এই নিয়ে বিস্ফোরক ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ট্যুইটে শুভেন্দু লেখেন, , “খুনে জড়িত তৃণমূল কংগ্রেস। সময়ের মোড় ঘুরলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিঠুন ঘোষকে বিজেপি ভুলবে না" উত্তর দিনাজপুর জেলার বিজেপি যুব মোর্চার সহসভাপতি ছিলেন মিঠুন ঘোষ। শুভেন্দুর অভিযোগ আততায়ীরা তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেছেন, 'অসামাজিক হাউন্ড কুকুরগুলো তাদের প্রভুর আদেশ কার্যকর করেছে।' সময় আসলে তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি মিঠুন ঘোষকে ভুলবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
@BJYM VP Uttar Dinajpur dist. Mithun Ghosh has been shot dead by assailants at Itahar. This is TMC's handiwork written all over it. The bloodthirsty antisocial hound dogs who executed their master's orders would be taken to task when the tide turns.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 17, 2021
We won't forget Mithun Ghosh. pic.twitter.com/V819egcHHt
প্রসঙ্গত, রবিবার বাড়ির সামনেই বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। গুলি করে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় ওই নেতাকে। তাঁর পেটে একাধিক গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মিঠুনের পরিবারের দাবি
মিঠুন ঘোষের পরিবার ও তাঁর ভাইয়ের দাবি অনুযায়ী, হাসপাতালে যাওয়ার সময় মিঠুন ঘোষ দুজনের নাম করেছিলেন। তারা হলেন, সুকুমার ঘোষ এবং সন্তোষ মহান্ত। এই খুন নিয়ে বিজেপির তরফে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি দাবি করেছেন, এর আগেও ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে মিঠুন ঘোষকে। পুলিশকে মৌখিকভাবে বিষয়টি নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন উল্টে মিঠুন ঘোষকেই হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি সভাপতি।
গ্রেফতার এক অভিযুক্ত
ইটাহারে বিজেপি নেতা মিঠুন ঘোষ খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে। এখনও অধরা আরেক অভিযুক্ত। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে দুজনের নাম উঠে আসছে তাঁরা নিহত বিজেপি নেতা মিঠুন ঘোষের পূর্ব পরিচিত। তাঁরা তিন বন্ধুও ছিলেন। আবার আরও একটি বিষয় উঠে আসছে। নিহত মিঠুন ঘোষে বিজেপি করলেও বাকি দুজন তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।