scorecardresearch
 

পারিবারিক বিবাদ, বেলঘড়িয়ায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ মা-মেয়ের

পারিবারিক অত্যাচারের জেরে মা-মেয়ে আত্মঘাতী হলেন। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর ওপর অত্যাচার চালাতেন। আর তা সহ্য করতে না পেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘড়িয়ার ঘটনা।

Advertisement
নিহত কাঞ্চনা বিশ্বাস এবং তাঁর মেয়ে কীর্তিকা। ছবি: দীপক দেবনাথ নিহত কাঞ্চনা বিশ্বাস এবং তাঁর মেয়ে কীর্তিকা। ছবি: দীপক দেবনাথ
হাইলাইটস
  • পারিবারিক অত্যাচারের জেরে মা-মেয়ে আত্মঘাতী হলেন
  • মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ উঠেছে
  • উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘড়িয়ার ঘটনা

পারিবারিক অত্যাচারের জেরে মা-মেয়ে আত্মঘাতী হলেন। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাঁর ওপর অত্যাচার চালাতেন। আর তা সহ্য করতে না পেরে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘড়িয়ার ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও মেয়ে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেলঘড়িয়ার বি এন ঘোষাল রোডে।

আরও জানা গিয়েছে, মায়ের নাম কাঞ্চনা বিশ্বাস (৪০)। তিনি গৃহবধূ। এবং একমাত্র কন্যা কীর্তিকা বিশ্বাস (৭) স্থানীয় বেলঘড়িয়া ছাত্রমঙ্গল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শাশুড়ি ও ননদ তাঁদের ওপর অত্যাচার চালাত বলে অভিযোগ। স্বামী বিশ্বনাথ বিশ্বাস পেশায় ব্যবসায়ী। অভিযোগ, স্ত্রী-কন্যার হয়ে প্রতিবাদ করতেন না। ফলে এ ধরনের একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন মা।

কাঞ্চনা বিশ্বাসের বাপের বাড়ি হুগলি জেলার বাঁশবেড়িয়া মিলন পল্লী এলাকায়। মৃতের শাশুড়ি এবং দুই ননদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। অন্যদিকে বেলঘড়িয়া স্টেশনের জিআরপি মৃতদেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। 
এই ঘটনায় বেলঘড়িয়া চৌধুরি পাড়া অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে আসে। 

এদিন কাঞ্চনার ভগ্নিপতি প্রতাপ দাস জানান, "বিশ্বনাথবাবু আমাকে ফোন করে আত্মহত্যার ঘটনাটি জানাযন। আজ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ তারা দুজন আত্মহত্যা করেছে। দীর্ঘ ১০-১১ বছর ধরে পারিবারিক একটা অশান্তি ছিল। ওর শাশুড়িও ভাল ব্যবহার করতেন না। ওঁরা মানসিক চাপে ছিল। আমাদের যেটা ধারণা যে শেষ দুই তিন দিন ধরে পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে গিয়েছিল এবং যার ফলে এই চরম পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।"

এদিকে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী হয়েছিল, জানার চেষ্টা করছে। নিহতের শ্বশুরবাড়ি এবং বাপের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হচ্ছে। আত্মহত্যার ঘটনার জেরে ট্রেন চলাচলে প্রভাব পড়ে। যদিও কিছুক্ষণ পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

Advertisement

 

Advertisement