PM Modi Durgapur Live Updates: শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করলেন। সব মিলিয়ে প্রকল্পগুলির মোট অঙ্ক ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
আকাশবাণীর রিপোর্ট অনুযায়ী, এদিন প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জন্য ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের (BPCL) সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পাইপের মাধ্যমে গ্যাস (PNG-Piped Natural Gas) পৌঁছে যাবে। বাণিজ্যিক ও শিল্প ক্ষেত্রেও PNG-র সুবিধা মিলবে। এছাড়া পেট্রোল পাম্পের মাধ্যমে CNG সরবরাহ করা হবে। এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হবে দুই জেলায়।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের অপশাসনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিজেপি'র দিকে তাকিয়ে আছেন এবং তাঁরা নিশ্চিত যে একমাত্র বিজেপি-ই পারবে উন্নয়ন করতে। আগামীকাল, ১৮ই জুলাই, দুর্গাপুরে একটি @BJP4Bengal জনসভায় ভাষণ দেবো। যোগদান করুন!
— Narendra Modi (@narendramodi) July 17, 2025
এর পাশাপাশি দুর্গাপুর-কলকাতা অংশের ১৩২ কিলোমিটার জুড়ে 'দুর্গাপুর-হলদিয়া ন্যাচারাল গ্যাস পাইপলাইনে'র উদ্বোধন করা হল। এই পাইপলাইনটি জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইনের অংশ। প্রকল্পের নাম 'উর্জা গঙ্গা প্রকল্প'।
এদিন দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) পদ্ধতির মাধ্যমে 'রেট্রোফিটিং পলিউশন কন্ট্রোল সিস্টেম' চালু করা হবে। এটিরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রেল পরিকাঠামোর উন্নয়নেও বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি পুরুলিয়া-কোটশিলা রেল লাইন ডাবলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ৩৬ কিমি দীর্ঘ লাইনটি ডাবলিং করা হয়েছে। এর ফলে বোকারো, ধানবাদ থেকে রাঁচি ও কলকাতার দিকে শিল্প সামগ্রীর পরিবহণ আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ হবে। মালগাড়ি চলাচলের গতি বাড়বে। শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত লাভজনক হতে চলেছে।
এর পাশাপাশি দু'টি ওভারব্রিজেরও উদ্বোধন করা হল। 'সেতু ভারতম' প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের টপসি ও পান্ডবেশ্বরে দু'টি ওভারব্রিজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে সেই এলাকায় রেলগেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও অনেকটাই হ্রাস পাবে।
এখানে অনুপ্রবেশকারীদের ভুয়ো কাগজ দেওয়া হচ্ছে। এটা পশ্চিমবঙ্গের তথা দেশের জন্য বিপদজনক। আজ দেশের সামনে তৃণমূলের মুখোশ খুলে যেতেই তারা অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষেই আসরে নেমেছে। কিন্তু আমি দুর্গাপুরের মাটি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, যে ভারতের নাগরিক নয়,
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন: আজ পশ্চিমবঙ্গে হাসপাতালও সুরক্ষিত নয়। আপনারা দেখলেন, এখানে যখন হাসপাতালে ডক্টর মহিলার সঙ্গে অন্যায় হয়, তখন কীভাবে টিএমসি সরকার অপরাধীদের পাশে জুটে গেল।
সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেও আরও একটা কলেজে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা ঘটল। সেখানেও অভিযুক্ত তৃণমূলের সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা অভিযুক্তের বদলে নির্যাতিতাকেই দুষতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন: তৃণমূল এখানে শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি ও অপরাধ চালাচ্ছে। এই যে এত শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন, তার কারণ তৃণমূলের দুর্নীতি। এর ফলে হাজার হাজার পরিবারে যেমন সঙ্কট নেমেছে, তেমনই স্কুলগুলিতেও শিক্ষকের অভাব দেখা গিয়েছে। অবস্থা এমনই যে কোর্টকেও বলতে হচ্ছে যে এটি 'সিস্টেমেটিক ফ্রড'।
আপনারা একবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। এমন একটি সরকার বানান যে সৎ, পরিশ্রমী ও সাহসী। বিকশিত বাংলা, মোদীর গ্যারান্টি(বাংলায়)। বিকশিত বাংলা, বিজেপির সংকল্প(বাংলায়)।
আমাদের দুর্গাপুর, বাংলার অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিনিয়োগ আসতে হবে। এখানের নতুন প্রজন্মের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ প্রয়োজন। কিন্তু এখানে যতদিন তৃণমূলের সরকার থাকবে, তা কখনই হতে দেবে না।
আপনারা একটু ভাবুন, যেখানে মুর্শিদাবাদের মতো দাঙ্গা হয়, ছোট ছোট বিষয়ে হিংসা হয়, আর পুলিশ একতরফা পদক্ষেপ নেয়, যেখানে ন্যায়ের আশাটুকু নেই, সেখানে কেউ কীভাবে বিনিয়োগ করবে? এখানের রাজ্য সরকার মানুষের প্রাণ ও দোকানেরই সুরক্ষা দিতে পারে না। তাই বিনিয়োগকারীদেরও টেনশন হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন: বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার কয়েক বছরের মধ্য়েই পশ্চিমবঙ্গ দেশের শিল্পের কেন্দ্রেবিন্দুতে পরিণত হতেপারে। কারণ এখানে প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী কর্মীর অভাব নেই। পশ্চিমবঙ্গ বহু বছর ধরে আমদানি-রফতানির স্থল ছিল। এখানে বন্দরের নেটওয়ার্ক আছে। এখানে মেক ইন ইন্ডিয়ায় গতি আনার সমস্ত শক্তি আছে। শুধুমাত্র এখানে TMC সরকার বাংলার উন্নয়নের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যেদিন তৃণমূল সরকারে এই দেওয়াল বাংলায় ভেঙে পড়বে, সেই দিন থেকেই বাংলা বিকাশের নতুন গতি ধরে নেবে। তৃণমূলের সরকার গেলে তবেই আসল পরিবর্তন আসবে। টিএমসি যাবে, তবেই আসল পরিবর্তন আসবে(বাংলায়)।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী:
দুর্গাপুরে BJP-র সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী: পশ্চিমবঙ্গের এই মাটি অনুপ্রেরণায় পরিপূর্ণ। এটি দেশে প্রথম শিল্পপতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি। উনি ভারতকে প্রথম শিল্প নীতি দেন। এটি বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মানুষের মাটি। যিনি দুর্গাপুরকে বড় স্বপ্ন, বড় পরিকল্পনার জন্য নির্বাচন করেছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গে দ্বারকানাথ ঠাকুরের মতো মানুষ ছিলেন, যাঁরা গোলামির আমলে ব্যাঙ্কিং স্থাপন করেছিলেন।
দুর্গাপুরে BJP-র সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী:
এদিন সভার শুরুকে শুভেন্দু অধিকারী বক্তব্য রাখেন। বলেন, 'বাংলাকে আজ ৫,৪০০ কোটি টাকার উন্নয়নের উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।'
দুর্গাপুরে বিজেপির
।
সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দুর্গাপুরের BJP সভামঞ্চের পথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৫,৪০০ কোটি টাকার তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, রাস্তা এবং রেলপথের সম্পর্কিত প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, 'এগুলি পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে নব জোয়ার আনবে।'
সরকারি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য সহ বিজেপি নেতৃত্বরা।
দুর্গাপুরের জনসভায় মিঠুন: পুলিশকে একটু নিরপক্ষে হতে বলুন, দেখবেন BJP কী করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুর্গাপুরের সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘BJP হেরে যাওয়ার পাত্র নয়। এ বার সামনাসামনি লড়াই হবে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে তৈরি হয়ে মাঠে নামব। পুলিশকে বলব একটু নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করুন। তারপর দেখুন BJP কী করতে পারে।’
মিঠুন চক্রবর্তী ভাষণ দিতে উঠলেন দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়। তৃণমূলকে নিশানা করে মিঠুন বলছেন, এবারে মাঠে নামছি পুরো তৈরি হয়ে। ২৩-২৪ তারিখ থেকে পুরোপুরি মাঠে নামব। আপনাদের কথা শুনবো, বলব, একসঙ্গে লড়াই করব। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মনে রাখবেন। পুলিশকে একটু নিরপেক্ষ হতে হবে। আপনারা পুলিশকে বলুন, তারপর দেখুন বিজেপি কী করতে পারে। আমি আপোষের রাজনীতি করি না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমান অন্ডাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করল। একটু পরেই দুর্গাপুরে সভাস্থলে পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিহারে মোতিহারিতে সভা সেরেই দুর্গাপুরে এলেন মোদী। অন্ডাল থেকে রোড শো করে দুর্গাপুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।
দুর্গাপুরে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে স্বাগত প্রস্তুত দুর্গাপুরবাসী। সভাস্থলে বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছে। তাঁদের অনেকের হাতেই রয়েছে দলীয় পতাকা। কেউ কেউ নিজে হাতে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মায়ের ছবি এঁকে এনেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী আসার আগে দুর্গাপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে আগুন লাগে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুন নেভানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই সম্ভবত আগুন লেগেছিল।
সম্প্রতি পুরুলিয়া-কোটশিলা রেল লাইন ডাবলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ৩৬ কিমি দীর্ঘ লাইনটি ডাবলিং করা হয়েছে। এর ফলে বোকারো, ধানবাদ থেকে রাঁচি ও কলকাতার দিকে শিল্প সামগ্রীর পরিবহণ আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ হবে। শুক্রবার সেই ডাবল লাইনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।