scorecardresearch
 

ফিল্মি কায়দায় পাচারকারীদের ধাওয়া পুলিশের, মালদায় উদ্ধার ৫০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার

ফিল্মি কায়দায় দুই পাচারকারীর পেছনে ধাওয়া করে ৫০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার (Brown Sugar) উদ্ধার করল পুলিশ। পাচারকারী দুজনের মধ্যে একজন ধরা পড়ে অন্যজন পালিয়ে যায়। তাঁর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement
মাদক পাচারের অভিযোগ গ্রেপ্তার তৌহিদ শেখ। মালদার কালিয়াচকে। ছবি: ভাস্কর রায় মাদক পাচারের অভিযোগ গ্রেপ্তার তৌহিদ শেখ। মালদার কালিয়াচকে। ছবি: ভাস্কর রায়
হাইলাইটস
  • ফিল্মি কায়দায় দুই পাচারকারীর পেছনে ধাওয়া
  • ৫০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার উদ্ধার করল পুলিশ
  • সাফল্য মালদার কালিয়াচক থানার দুই অফিসারের

ফিল্মি কায়দায় দুই পাচারকারীর পেছনে ধাওয়া করে ৫০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার (Brown Sugar) উদ্ধার করল পুলিশ। পাচারকারী দুজনের মধ্যে একজন ধরা পড়ে অন্যজন পালিয়ে যায়। তাঁর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

সামনে দুই অপরাধী আর তার পেছনে দুই পুলিশ ধাওয়া করছে বাইকে চেপে। এটা কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। মালদা (Malda)-য় এমনই ঘটনা ঘটেছে। সামনে দুজন মাদক পাচারকারী। আর পেছনের দুইজনকে রাধা করছিলেন তারা মালদার পুলিশ সাফল্য। সাফল্য পাওয়া গেছে পাকড়াও করা গেছে এক মাদক পাচারকারীকে। উদ্ধার হয়েছে মাদক। তবে তার সঙ্গী পলাতক।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মালদার কালিয়াচক (kaliachak ) থানার দুই অফিসার অভিষেক তালুকদার এবং রোহিত দাস দুজনে মিলে মোটরসাইকেল করে দুই পাচারকারীর পেছনে ধাওয়া করে। তাদের অভিযান ব্যর্থ হয়নি। পরে একজন ধরা পড়ে যায়। অন্যজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ধৃতের নাম তৌহিদ শেখ। কালিয়াচকের আলিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ লক্ষীপুর গ্রামে। তাঁকে জেরা করে, তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কেজি ব্রাউন সুগার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। দুটি প্যাকেটে ওই মাদক ছিল।

অন্যদিকে, তৌহিদের পলাতক সঙ্গীর নাম সারাফুল খান। তাঁর বাড়িও কালিয়াচকে। এবার সারাফুলের তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ। কতদিন ধরে তারা এই কাজে যুক্ত তা দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ। তার সঙ্গী কোথায় গা ঢাকা দিতে পারে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার কাছ থেকেও এ ব্য়াপারে জানার চেষ্টা করতে পুলিশ। এই ব্যবসায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, দেখা হচ্ছে। কোথা থেকে এই মাদক আসত, সেগুলো কোথায় পাঠানো হত, সব খতিয়ে ধেখছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, মালদা জেলায় চোরাচোলান বেশ বেড়ে গিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় রোজই চলছে পাচার। আগে এমন ছিল না। তবে এদিনের ঘটনা পুলিশ-প্রশাসনকে আত্মবিশ্বাস দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

Advertisement