scorecardresearch
 

Saradha Chit Fund Scam : রাজ্যের সব মামলায় জামিন দেবযানীর, নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

সারদা ভুঁইফোঁড় আর্থিক প্রতারণা সংস্থা (Saradha Chit Fund Scam)-র মামলায় দেবয়ানী অন্যতম অভিযুক্ত। এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন।

Advertisement
সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন (বাঁদিকে), দেবযানী মুখোপাধ্যায় (ফাইল ছবি/ইন্ডিয়া টুডে) সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন (বাঁদিকে), দেবযানী মুখোপাধ্যায় (ফাইল ছবি/ইন্ডিয়া টুডে)
হাইলাইটস
  • সারদা চিটফান্ডকাণ্ডে এ রাজ্যের মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়
  • শনিবার কলকাতা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে
  • তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভিন রাজ্য কিছু মামলা রয়েছে

সারদা চিটফান্ডকাণ্ড (Saradha Chit Fund Scam)-এ রাজ্যের মামলায় জামিন পেলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। শনিবার কলকাতা আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ভিন রাজ্য কিছু মামলা রয়েছে।

সারদা ভুঁইফোঁড় আর্থিক প্রতারণা সংস্থা (Saradha Chit Fund Scam)-র মামলায় দেবয়ানী অন্যতম অভিযুক্ত। এই মামলার মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। দেবযানীকে এখন রাখা হয়েছে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে।

তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ রাজ্য তো বটেই, ভিন রাজ্যেও সারদা ভুঁইফোঁড় আর্থিক প্রতারণা সংস্থা (Saradha Chit Fund Scam)-র মামলায় নাম রয়েছে তাঁর। ঝাড়খন্ড, ওডিশায় এই প্রতারণায় তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ফলে এখন দেবযানী সংশোধনাগারের বাইরে আসছেন বলেই খবর।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করেছে। সিবিআইয়ের দায়ের করা আরসি সিক্স মামলায় জামিন। এই মামলার সঙ্গে এ রাজ্যের সবকটি মামলাতেই জামিন পেলেন তিনি।

যদিও ভিন রাজ্যে চলা একাধিক মামলায় জামিন না মেলায় এখনও জেলবন্দিই থাকতে হবে দেবযানীকে। ২০১৩ সালে ২২ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় তাকে। কাশ্মীরের সোনমার্গ থেকে।২০১৪ সালে সারদা টুর অ্যান্ড ট্রাভেল মামলায় জেল হেফাজত হয়।

এদিকে, মাস কয়েক আগে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন সংশোধনাগার থেকে একটি চিঠি লেখে। এর পাল্টা চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সিবিআইকে চিঠি দিলেন।

সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন সংশোধনাগার থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদের নাম ছিল। শুভেন্দুবাবুর নামও ছিল সেখানে।

জানা গিয়েছে, শুভেন্দু তাই পাল্টা চিঠি দিয়েছেন। তিনি কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি ওই চিঠি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনকে চাপ দিয়ে ওই চিঠি লেখানো হয়েছে।

Advertisement

শুভেন্দু ওই চিঠি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী চিঠি লিখেছেন সারদা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। সংবাদ মাধ্যম থেকে সে কথা জানতে পেরেছি। ওই চিঠি তিনি ১ ডিসেম্বর লিখেছেন। হঠাৎই এতদিন পর তিনি চিঠি লিখেছেন।

তিনি আরও লিখেছেন, "পাঁচ রাজনীতিবিদ তাঁর কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তাই সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশকে তিনি অনুরোধ করেছেন ঠিক করে তদন্ত করার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার। একটি জিনিস তাঁকে খুব ব্যথা দিয়েছে। তা হল তাঁদের অনেকে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন।"

রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আরও লিখেছিলেন, "এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বিরোধী দলের নেতাদের পাশাপাশি আমার নামও ওই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত চিঠিতে রয়েছে। আমি রাজ্য মন্ত্রিসভার পদ ছাড়ার পরই তা করা হয়েছে। আমি ওই পদ ছেড়েছি ২৭ নভেম্বর। আর চিঠি লেখা হয়েছে ১ ডিসেম্বর। আশ্চর্যজনক ভাবে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার, এডিজি এবং আই জি সংশোধনাগারের মধ্যে যোগাযোগের কথা চতলে এল সংবাদমাধ্যমে।"

তিনি আরও লিখেছন, "এই ঘটনাপ্রবাহ দেখে আশঙ্কা করছি, চিঠি লেখার নেপথ্যে সন্দেহের জিনিস রয়েছে। কারা-কর্তৃপক্ষ এবং প্রভাবশালীর চাপে তিনি এই কাজ করেছেন।"

সিবিআইয়ের কাছে তাঁর আবেদন, সুদীপ্ত সেনের ওপর প্রভাব খাটাতে পারে কারা-কর্তৃপক্ষ। প্রভাবশালীর হাত থাকতে পারে। চিঠির লেখককে প্রভাবিত করা হয়েছিল বলে আমার বিশ্বাস। আপনাকে অনুরোধ করছি, ওই চিঠির সব দিক খতিয়ে দেখা হোক। উপযপক্ত পদক্ষেপ করার ব্যাপারে আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে জানালাম।

 

Advertisement