প্রায় বছর দুয়েক হতে চলল স্কুলের মুখ দেখেনি কচি কাঁচারা। স্কুল খোলার খবরে মুখ ঘোরাচ্ছে অনেক শিশুরাই। দেশের কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে অফলাইন ক্লাস। কিন্তু করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে এই রাজ্যে এখনও অনলাইনেই চলছে পড়াশুনা। তবে কবে এই রাজ্যের পড়ুয়ারাও স্কুলমুখো হবে? তার উত্তর দিলেন শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রী জানান, পুজোর পর খুলতে পারে স্কুল। তবে এর সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ই। ব্রাত্য বসু জানান,"আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবুজ সঙ্কেত দেবেন। আপাতত আমরা পরিস্থিতি, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখছি।"
মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতি বিচার করে পুজোর পর স্কুল খোলা হবে। তবে চিন্তা ধরাচ্ছে সামনেই বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো নিয়ে। গতকাল, বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৬ জন। মারণ ভাইরাসের বলি ১২। বুধবার মারা গিয়েছিলেন ১৩। একদিনে করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৫৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৩১ শতাংশ। সুস্থতার হার রাজ্যে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও গতি পেয়েছে। যারফলে এবার স্কুল খোলার সম্ভাবনা খানিকটা জোরালো বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার পুজোয় যে জেলায় ৫ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার সেই জেলাগুলিতে ভিড় করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানায় কেন্দ্র। ফলে পুজোয় রাজ্যে সংক্ৰমণ ধরে রাখতে পারলেই স্কুল খোলা সম্ভব হবে।
অন্যদিকে, আর দিন কয়েক পরই ভবানীপুরের হেভিওয়েট উপনির্বাচন। সে প্রসঙ্গে এদিন ব্রাত্য বসু বিজেপিকে বিঁধে বলেন, "আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভবানীপুরে এসে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালান। যেমন তারা গত নির্বাচনের সময় রাজ্যে নিয়মিত আসতেন।" তিনি আরও জানান,"বিজেপি বিপুল ভোটে পরাজিত হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় সময়ের অপেক্ষা মাত্র। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংঘের প্রধান যে কেউ প্রচারে আসতে পারেন। কিন্তু বিপুল ব্যবধানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিজয়ী হবেন।"