scorecardresearch
 

অভিষেকের তোপেও নিরুত্তর শুভেন্দু, 'এড়ালেন' দলত্যাগ প্রসঙ্গ

মনে করা হয়েছিল দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিবিদ হয়ত ছেড়ে আসা দলের প্রতি কিছু ইঙ্গিত দেবেন। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও পরবর্তী পদখেপ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে।

Advertisement
আক্রমণ এড়িয়ে কেবল আগামীর বার্তাই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আক্রমণ এড়িয়ে কেবল আগামীর বার্তাই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
হাইলাইটস
  • ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে
  • বিজেপি, তৃণমূল, মন্ত্রীত্ব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ সব প্রসঙ্গই এড়ালেন তুখোড় রাজনীতিকের মত
  • সমস্ত প্রসঙ্গ, কটাক্ষ, আক্রমণ এড়িয়ে তাই কেবল আগামীর বার্তাই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

শুক্রবারই মন্ত্রীত্ব পদে ইস্তফা দিয়েছেন আর রবিবার জনসভা। মনে করা হয়েছিল দীর্ঘদিনের এই রাজনীতিবিদ হয়ত ছেড়ে আসা দলের প্রতি কিছু ইঙ্গিত দেবেন। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা কেটে গেলেও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে তেমন কিছুই বলতে শোনা গেল না শুভেন্দু অধিকারীকে। বিজেপি, তৃণমূল, মন্ত্রীত্ব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ সব প্রসঙ্গই এড়ালেন তুখোড় রাজনীতিকের মত। 

তবে আগামীর বার্তা দিলেন। রবিবার মহিষাদলে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ বয়ালের স্মরণসভায় ভাষণে অবশ্য জানিয়ে দিলেন, 'শেষ কথা জনগণই বলবে।" এই দেশের সংবিধানের শক্তির কারণে মানুষই শেষ কথা বলে একথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, "আপনারা যেভাবে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে এসেছেন তাতে আমরা সত্যিই অভিভূত। আগামী দিনের সংগ্রাম চলবে। আগামী দিনে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাদের উপস্থিতি আমার অনুপ্রেরণা। সংবিধানে বলাই আছে প্রতিষ্ঠান চলবে ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপল। শেষ কথা জনগণই বলবে। আমি বাংলা, বাঙালির হয়ে কাজ করে যাব।” 

আরও পড়ুন, "তৃণমূলে কেউ প্যারাসুটে নামেনি-লিফটেও ওঠেনি", শুভেন্দুকে পাল্টা অভিষেকের

রবিবারের মঞ্চ অরাজনৈতিক ছিল তবে সভাস্থলের পাশে ‘দাদার অনুগামী’দের ব্যানার ছিল। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এটিই শুভেন্দুর প্রথম জনসভা। কিন্তু গর্জালেও তেমনভাবে বর্ষালেন না শুভেন্দু। ডায়মন্ড হারবার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিশানারও জবাব দিলেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের 'মা' সম্মোধন করে শুভেন্দুকে ঠেস দিয়ে অভিষেকের মন্তব্য, 'মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলে কর্মীরা বুঝে নেবে।'

দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল অনেক দিন আগেই। তৃণমূলের তরফে প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টাও জারি ছিল। বরফ গলাতে আসরে নেমেছিলেন ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরও। সৌগত রায়ের মত বর্ষীয়াণ নেতাও শেষ চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তেই অটল ছিলেন শিশির অধিকারি-পুত্র। রবিবারও বুঝিয়ে দিলেন তিনি পোড় খাওয়া রাজনীতিক। সমস্ত প্রসঙ্গ, কটাক্ষ, আক্রমণ এড়িয়ে তাই কেবল আগামীর বার্তাই দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

Advertisement