অবরোধ তুলতে গিয়ে ময়দানে নামলে বিপাকে পড়তে হল খোদ মমতার (Mamata Banerjee)মন্ত্রীকে। নিজের সংগঠনের কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়লেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী(Siddiqullah Chowdhury)। শেষমেশ লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে আসতে হল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতিকে। বিরল দৃশ্য় দেখে অবকা হলেন পথচলতি লোকজন।
অবরোধ ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। লাঠি হাতে দেখা গেল মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে। বিশৃঙ্খলা সামলাতে গিয়ে উল্টে ফাঁপড়ে পড়লেন তিনি। খোদ তাঁর সংগঠনের কর্মীরাই রেগে তেড়ে যান সভাপতির দিকে। ঘটনার সূত্রপাত,নতুন কৃষি আইন নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে,কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন হঠাৎ কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। যার পক্ষপাতী ছিলেন না মন্ত্রী। বিক্ষোভ কর্মসূচিতেই মাইক নিয়ে তিনি বার বার বলেন, কেউ আইন ভাঙবেন না। কিন্তু দেখা যায়, কেউ মন্ত্রীর কথা না শুনে জাতীয় সড়কেই বসে পড়েন।
শেষে লাঠি হাতে অবরোধ তুলতে সড়কে নামেন সিদ্দিকুল্লা। তখনই জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সমর্থক ও কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়েন মন্ত্রী। মারমুখী হয়ে ওঠে তারা। বেগতিক দেখে অবরোধের মুখে গাড়ির ওপর উঠে পড়েন মন্ত্রী । পরে সেখানে বসেই ২ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধে সামিল হয়ে নেতৃত্ব দেন।
এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ ব্লক-এর ভাসাপুল-এর কাছে দু নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। রাস্তার দুদিকের লেনেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। অতীতে মমতার মন্ত্রী বলেন, "কৃষি বিল (Farmer Bill) ভারতবর্ষের মানুষকে ধ্বংস করে দেবে। ভারতবর্ষের ৯৫ কোটি মানুষ কৃষি এবং কৃষকের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত। কৃষকরা খাদ্য উৎপাদন করেন তবেই ১৩০ কোটি মানুষ খেতে পান। কৃষি আইন নিয়ে জবরদস্তি করলে বিদেশ থেকে খাবার আনতে হবে। এটা ভারতের সংবিধানকে আহত করেছে। ভারতের গণতন্ত্রকে আহত করেছে। মূল্যবোধকে শেষ করে দিয়েছে। দয়া মায়া নেই, শুধু জেদ।