সকাল থেকে দফায় দফায় পথ অবরোধ। যার জেরে এবার মহামূল্য়বান ভ্য়াকসিনের (Vaccine) কনভয় আটকে গেল রাস্তায়। শেষে পথ বদল করে ভ্য়াকসিনের গাড়িকে নিয়ে যাওয়া হল অন্য় রুটে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে মমতার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরির(Siddiqullah Chowdhury)দিকে।
এদিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি ১ ব্লক-এর ভাসাপুল-এর কাছে দু নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এলাকায়। রাস্তার দুদিকের লেনেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। পরে কলকাতা থেকে ভ্যাকসিন এসে বর্ধমানে পৌঁছয়। বর্ধমানে সিএমওএইচ অফিসে নামার পর দুর্গাপুর হয়ে বাঁকুড়ার দিকে যাচ্ছিল ভ্য়াকসিনের গাড়ি। পথে গলসিতে গলি গ্রামের কাছে যানজটে আটকে পড়ে সেই গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে গলসি থানায় খবর দেওয়া হয়। দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে গলসি থানার পুলিশ। পরে সেখান থেকে গাড়িটিকে গলসি থানার গলি গ্রাম হয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে দুর্গাপুরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রাজ্য়ের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ''ভ্য়াকসিন যে আসছে, সে ব্য়াপারে আমাদেরকে আগে জানানো উচিত ছিল। তা কিন্তু করা হয়নি। আমি জানার পরই বার বার ঘোষণা করেছি, অ্য়াম্বুল্যান্স, রোগী, ছাত্র বা কোনও মেডিসিন যদি আসে তাকে যেন পাশ দিয়ে যেতে দেওয়া হয়। গাড়িটা অনেক পিছনে ছিল। আমি রাস্তায় নেমেছিলাম। পরে পুলিশ গাড়িটেকে অন্য় রাস্তা দিয়ে বের করে নিয়ে যায়।''
যদিও রাজ্য়ের মন্ত্রীর বিক্ষোভ কর্মসূচির জেরে ভ্য়াকসিন আটকানোর বিষয় সামনে আসতেই মুখ খুলেছে বিজেপি। রাজ্য় বিজেপির পর্য়বেক্ষক কৈলাস বিজয়হর্গীয় টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর রাজনৈতিক ভন্ডামিতে বদল করতে হয়েছে ভ্য়াকসিনের রুট। বহুমূল্য ভ্য়াকসিন নষ্ট হলে তার দায় কে নিত ?
জানা গিয়ছে, বুধবার সকালে গলসিতে অবরোধ ছিল জমিয়তে উলেমা-এ হিন্দের । যার নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সকালে অবরোধ তুলতে গিয়ে ময়দানে নামলে বিপাকে পড়তে হয় খোদ মমতার (Mamata Banerjee)মন্ত্রীকে। নিজের সংগঠনের কর্মীদের আক্রমণের মুখে পড়েন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী(Siddiqullah Chowdhury)। শেষমেশ লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের দিকে তেড়ে আসতে হল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর সভাপতিকে।
এদিন সকালে,কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ-এর অবস্থান বিক্ষোভ চলাকালীন হঠাৎ কর্মীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। যার পক্ষপাতী ছিলেন না মন্ত্রী। বিক্ষোভ কর্মসূচিতেই মাইক নিয়ে তিনি বার বার বলেন, কেউ আইন ভাঙবেন না। কিন্তু দেখা যায়, কেউ মন্ত্রীর কথা না শুনে জাতীয় সড়কেই বসে পড়েন।